প্রযুক্তির এই যুগে বাড়ছে প্রযুক্তিসংক্রান্ত অপরাধ। আর এ ধরনের অপরাধ দমনে কাজ করছে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেল (এনটিএমসি)। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ফেসবুকে খোলা ৭৫২টি ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে। শিগগিরই টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে প্রধানমন্ত্রীর নামে খোলা ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হবে।
প্রিয়.কমকে এমনটাই জানিয়েছেন এনটিএমসির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান।
তিনি জানান, ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে খোলা ৭৫২টি ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে এগুলো ছাড়া অপপ্রচারে ব্যবহৃত মোট ১ হাজার ৩৩২টি ফেসবুক পেজ গত এক মাসে বন্ধ করা হয়েছে।
টুইটার থেকেও এ ধরনের ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হবে জানিয়ে জিয়াউল আহসান বলেন, ‘যেহেতু ফেসবুকে বন্ধ করেছি, টুইটারেও বন্ধ করব। অতি শিগগিরই করা হবে।’
তিনি জানান, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা বিভাগগুলোও এই সহযোগিতা পাবে এনটিএমসি থেকে।
জিয়াউল আহসান বলেন, ‘মন্ত্রী-এমপি, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা স্থাপনা, যদি চায় তারাও এই আবেদন করতে পারে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে আমরা চিঠি লিখেছি। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
‘ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত কোনো অভিযোগ আসলে আমরা প্রথমে বিষয়টি চেক করব। কেউ অভিযোগ না করলে তো অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে পারি না।’
তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, যদি কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী সমস্যায় পড়েন তখন তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থার শরণাপন্ন হন। আর এসব সমস্যা সমাধানে সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা করে থাকে এনটিএমসি।
তিনি বলেন, ‘আপনি যদি ব্যক্তি পর্যায়ে একটি চিঠি পাঠিয়ে দেন (সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে) যে, আমি এই প্রবলেমে রয়েছি, আমার এই প্রবলেমের জন্য সমস্যা হচ্ছে। আপনি একজন সেলিব্রেটি, আপনার নামে অ্যাকাউন্ট খুলে প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে, আপনি কার কাছে যাবেন এটি বন্ধ করতে? আপনি যাবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, এদের কাছে। এসব সমস্যা সমাধানে সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা করে থাকে এনটিএমসি।’
এদিকে গুজব ছড়ানো থেকে সংবাদমাধ্যম ও ওয়েবসাইটগুলোকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন জিয়াউল আহসান।
তিনি জানান, নির্বাচনের আগে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে চিঠি লিখে ৬৪টি সাইট বন্ধ করা হয়েছে। মাঝখানেও কিছু লিঙ্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যারাই গুজব ছড়াবে তাদের সাইট বন্ধ করে দেওয়া হবে।