ফের ৪ দিনের রিমান্ডে টিটু রায়

ফেসবুকে ‘ধর্ম অবমাননাকর’ স্ট্যাটাস দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার টিটু রায়ের আরো চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শনিবার বিকেলে রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন টিটু রায়ের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে আদালতে প্রতিবেদন দিতেও আদেশ দিয়েছেন বিচারক।

জানা যায়, শনিবার বিকেলে টিটু রায়কে আদালতে হাজির করা হয়। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই বাবুল হোসেন টিটু রায়কে আরো ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক টিটু রায়ের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে ১৫ নভেম্বর টিটু রায়কে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে আজ দুপুরে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধি দল রংপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাস গুপ্ত অ্যাডভোকেট বলেছেন, ঠাকুরপাড়ার ঘটনা ঘটার আগে প্রশাসন যদি নিরাপত্তা বলয় তৈরি করতে পারতো তাহলে এ ঘটনা ঘটতো না। পুলিশ কোনো দায়িত্বশীল ভূমিকাই পালন করেননি।

মঙ্গলবার ভোরে নীলফামারীর জলঢাকার গোলনা ইউনিয়নের চিড়াভিজা গোলনা গ্রাম থেকে টিটু রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় টিটু রায় গোলনা গ্রামে তার দূর সম্পর্কের আত্মীয় কৈলাশ চন্দ্র রায়ের বাড়ি বেড়াতে আসে। সেখান থেকে মঙ্গলবার ভোরে চারটি গাড়িতে পুলিশের একটি দল এসে তাকে গ্রেপ্তার করে।

ফেসবুকে বিতর্কিত স্ট্যাটাসের অভিযোগে ১০ নভেম্বর টিটু রায়ের গ্রাম ঠাকুরপাড়ায় হামলা চালানো হয়। ওইদিন জুমার নামাজের পর আশপাশের ৬-৭টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ ঠাকুরপাড়া গ্রামে হামলা চালায়। এসময় পুলিশের সঙ্গে জনতার সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালালে ছয় জন আহত হন। পরে আহতদের মধ্যে একজন মারা যান। ওইদিন ঠাকুরপাড়ার অন্তত ৩০টি বাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়, ভাঙচুর করা হয় ২০টি বাড়ি।