লোহাগাড়ার পদুয়া ছগিরা পাড়া এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ছাগিরা পাড়া জামে মসজিদে প্রভাব বিস্তার নিয়ে এ হামলা সংঘটিত হয় বলে জনিয়েছেন পদুয়া ছগিরা পাড়া সমাজ পরিচালনা কমিটির নির্বাচিত সভাপতি জালাল আহমদ। এই ঘটনায় গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে ১৩ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম গতকাল শুক্রবার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আসামিরা হলো এহেতাসামুল হক প্রকাশ শাপলা, নুর মোহাম্মদ, নুরুল হক প্রকাশ ভাতু, মো. রিয়াদুর রেজা, শহিদুল ইসলাম প্রকাশ পুতুক্যা, মোক্তার আহাম্মদ, মো. হারুন, নুরুল ইসলাম লাদেন, মো. মাঈনুদ্দিন, মো. শাহজাহান, মোহাম্মদ মিয়া হোসেন, মো. খোরশেদ আলম ও নেজাম উদ্দিন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ছগিরা পাড়া জামে মসজিদের বিষয়ে আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব বিস্তার করে আসছিল। গত ৪ সেপ্টেম্বর জালাল আহমদের ভাতিজা এনামুল হক বাড়ি হতে বের হয়ে রাস্তার আসার পথে আসামিরা তাকে এলোপাথারি মারধর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে এ সময় প্রতিবেশি ফোরকান এনামকে উদ্ধারের জন্য আসলে সন্ত্রাসীরা তার মাথায় কোপ মারে। সন্ত্রাসীদের আক্রমণে এনামুল হকের নাক কেটে যায় এবং ফোরকানের শরীরে বিভিন্ন অংশে জখম হয়। তাদেরকে উদ্ধারের জন্য আবুল কালাম, জাহেদুল ইসলাম ও মো. ফয়সালসহ প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসলে তারেদকেও মারধর করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে ভর্তি করা হয়। পরে এনাম ও ফোরকানের অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের জন্য জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।