প্যাকেট করা জুসে পুষ্টির বদলে থাকে অতিরিক্ত ক্যালোরি, প্রিজারভেটিভ ও রঙ

সবাই জানেন ওজন কমাতে চাইলে ফল ও সবজির জুড়ি নেই। এগুলোতে আছে প্রচুর দরকারী ভিটামিন, মিনারেলস, ফাইবার ও ন্যাচারাল সুগার যা শরীরকে সুস্থ রাখে। ফল ও সবজি কাঁচা বা রান্না করে খাওয়া যায়, কিন্তু জুস তৈরি করলে এগুলো থেকে পুষ্টি পাওয়া যায় সহজে। সকালে নাশতায় সাধারণত পান করা হয় ফলের রস, অন্যদিকে সবজি দিয়ে তৈরি জুস বা স্মুদি সাধারণ ক্ষুধা দূর করতে স্ন্যাকস হিসেবে পান করা হয়। কিন্তু ওজন কমাতে চাইলে কোনটা ভালো, ফলের জুস নাকি সবজির জুস?

এর উত্তর নির্ভর করছে কোন ফল ও সবজি দিয়ে জুস তৈরি করছেন তার ওপর। টাটকা উপাদান দিয়ে বাসায় তৈরি করা জুস সব সময়েই সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। প্যাকেট করা জুসে আসলে পুষ্টির বদলে থাকে অতিরিক্ত ক্যালোরি, প্রিজারভেটিভ ও রঙ। তাই ওজন কমাতে অবশ্যই কেনা জুস পান করা যাবে না।

ফল ও সবজির মাঝে কোনটি বেছে নেবেন?

ফলে থাকে অনেক বেশি পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি। তাই কিছু বেশি মিষ্টি ফলের জুস নিয়মিত পান করলে ব্লাড সুগার চট করে বেড়ে যেতে পারে। ওজন দ্রুত বাড়াতে চাইলে, ভারী ব্যায়ামের আগে বা সারাদিন ভারী কাজের পরিকল্পনা থাকলে মিষ্টি ফলের রস পান করুন। কিন্তু কম ক্যালোরির ডায়েটে থাকলে বা ওজন কমাতে চাইলে ফলের রসের তুলনায় আসলে সবজির রস বেশি উপকারী। সবজিতে যে শুধু চিনি কম থাকে তাই নয়, ফলের রস অম্লীয় ও সবজির রস ক্ষারীয়। তাই সবজির রস পান করলে শরীরে অম্ল ও ক্ষারের ভারসাম্য বজায় থাকে।

সবজিতে ফলে তুলনায় চিনি তথা ক্যালোরি কম থাকে বলে ওজন কমানোর জন্য তা পান করা উচিৎ। তবে জুস বা স্মুদি তৈরির সময় এতে অল্প ফল ও বেশি সবজি দিতে পারেন। সবজির জুসের স্বাদ বাড়াতে দিতে পারেন অল্প পরিমাণে মিষ্টি ফল। ৯০ শতাংশ সবজি ও ১০ শতাংশ ফল দিয়ে স্মুদি বা জুস তৈরি করুন।

যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন না, তারা ফল বা সবজি দুটোর জুসই পান করতে পারেন, কারণ দুটোতেই এমন সব পুষ্টি উপাদান আছে যা যে কাউকে সুস্থ রাখতে জরুরী। আস্ত ফল ও সবজিও খেতে পারেন এর পাশাপাশি।