ছয় ইঞ্চি লম্বা লোহার রডের একটি টুকরা, দুটি চা চামচের অংশ এবং লম্বা একটি সুই, ভাবছেন কোন ভাঙারির দোকানের বিবরণ দেয়া হচ্ছে? আসলে তা নয়। এগুলো তরুণ রবিদাস নামক এক যুবকের পেট থেকে অপারেশন করে বের করা হয়েছে। খবর আনন্দবাজারের।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অপারেশন কক্ষে। গতকাল শুক্রবার হাসপাতালের চিকিৎসকদের একটি দল অস্ত্রোপচার করে তরুণের পেট থেকে ধাতব এই জিনিসগুলো বের করেন। এ ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের সবমহলে হই চই পড়ে গেছে।
শায় রাজমিস্ত্রির কাজ করা এ যুবকের বড় ভাই বরুণ রবিদাস জানান, তার ভাই আংশিক মানসিক ভারসাম্যহীন। কখন যে লোহার রড, চামচ খেয়ে ফেলেছে জানি না।
তিনি আরও জানান, মাসখানেক ধরে তরুণের পেটে যন্ত্রণা হত। এর মধ্যে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে দিদির বাড়িতে বেড়াতে যান তিনি। মঙ্গলবার পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। সেই সঙ্গে রক্তবমি। রাতেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে তার পেটে এক্সরে করা হয়।তারপর সার্জন অরিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গঠিত হয় পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয় তরুণের অস্ত্রোপচার। অপারেশন করে ছেলেটির পাকস্থলী ও বৃহদন্ত থেকে উদ্ধার করা হয় রড, চামচ ও সুই।
হাসপাতালের সুপার অমিতকুমার বলেন, ধাতব টুকরাগুলো হজম হয়নি। বড় বলে শরীর থেকে বেরিয়েও যায়নি। ওই যুবক খুবই কষ্ট পেয়েছেন।
শিশুর গলায় আটকানো জ্যান্ত কই মাছ, লকেট পর্যন্ত অপারেশন করে বের করার নজির রয়েছে এই হাসপাতালের। তবে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের মঙ্গলপুরের বাসিন্দা তরুণ রবিদাসের পেট থেকে যা পাওয়া গেল, তা অন্তত এই হাসপাতালে আর কখনো ঘটেনি বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি।