বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যে গ্যাসটি বের হচ্ছে, তা বায়োজেনিক। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান বলেন, ওখানে কিছু জ্বালানো যাবে না। এতে বিস্ফারণ ঘটতে পারে। সাধারণ মানুষকে এ বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ওই জায়গায় কোনো এক সময় গাছ জাতীয় জিনিস নিচে চাপা পড়ে থাকতে পারে। যা পচে গ্যাস তৈরি হয়েছে। এটা কিছুদিন পর শেষ হয়ে যাবে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নগরীর শ্রীরামপুর টি-বাঁধের পাশে পদ্মার চরের একটি পয়েন্টের তিন-চারটি স্থানে বুদবুদ করে তরল কিছু বের হতে দেখেন এক স্থানীয় স্যানিটারি মিস্ত্রি। অবিরাম নির্গত ওই স্থানে রাতে হঠাৎ একদিন ম্যাচের কাঠিতে আগুন ধরে যায়। এর পর সে স্থানে পাইপ বসিয়ে কয়েকটি মুখ দিয়ে বের হওয়া গ্যাসে দিব্যি রান্না করে খাওয়া শুরু করে স্থানীয় মাঝিমাল্লা আর উৎসুক জনতা। বিষয়টি আশপাশে জানাজানি হয়। তবে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে মহানগরীর টি-বাঁধ এলাকায় এমন ঘটনা চললেও এটি পর্যবেক্ষণে এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের কেউ আসেনি।