পটিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার ভাইস চেয়ারম্যান পদে পুরুষ ও মহিলাদের একডজন সম্ভাব্য প্রার্থী মাঠে রয়েছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিভিন্নভাবে লবিং শুরু করেছেন। তার মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সদস্য আবু ছালেহ মো. শাহরিয়ার, উপজেলার সাধারণ সম্পাদক এম.এ রহিম, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম সরোয়ার মুরাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আশিষ তালুকদার, দেশরত্ম পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাহাবুদ্দিন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা বেগম জলি, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা বেগম শিরু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজেদা বেগম, মহিলা নেত্রী জীবন আরা বেগম, মহিলা লীগের উপজেলার সাধারণ সম্পাদক সুমি দে সাথী ও মহিলা লীগ নেত্রী শাহানা আক্তার টিয়া। মহিলাদের মধ্যে জলি, শিরু, সাজেদা ছাড়াও অন্যরা নতুন সম্ভাব্য প্রার্থী।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ না কাটতেই আগাম শুরু হয়েছে পটিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের লবিং। তারা বিভিন্নভাবে এ লবিং শুরু করেছেন। আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়টি জানা যায়। সিপিবি মতাদর্শের নারী নেত্রী ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা বেগম শিরু বিগত সময়ে উপজেলা পরিষদের দায়িত্ব সুনামের সঙ্গে পালন করেছেন। এবার তিনি আওয়ামী লীগের ব্যানারে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পুনরায় নির্বাচন করতে চান। তবে শিরুর পথের কাঁটা হতে পারে সাজেদা, জীবন আরা ও মহিলা লীগের টিয়া ও সুমি।
উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান, উপজেলায় গত ১০ বছরে পটিয়ার মাটি ও মানুষের নেতা সামশুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে দুই হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকা-ের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান পদে তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে নির্বাচন করতে চান। তিনি দলীয়ভাবে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন।
যুবলীগ দক্ষিণ জেলার সদস্য আবু ছালেহ মো. শাহরিয়ার বলেন, গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছেন। তবে দলের শীর্ষ নেতাদের কথামত ভাইস চেয়ারম্যান মো. সেলিম চৌধুরীকে সমর্থন দিয়েছিল। আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পেলে দলের প্রতিটি নেতাকর্মী তার পক্ষে থাকবেন।
উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক এম.এ রহিম বলেন, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে যুবলীগের কমিটি রয়েছে। আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলীয়ভাবে তিনি মনোনয়ন চাইবেন।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা বেগম জলি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে গেলে দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করবেন। দলীয় প্রতীক কিংবা দলের নেতাকর্মীদের সমর্থন পেলে নির্বাচনে লড়বেন। উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর যতটুকু বরাদ্দ পেয়েছেন তা জনগণের কাজে লাগিয়েছেন। তবে দল নির্বাচনে না গেলেও জনগণ তাকে যদি চান তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা বেগম শিরু বলেন, বিগত উপজেলা পরিষদে তিনি সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে আগাম প্রস্তুতি নিয়েছেন।
মহিলা লীগের উপজেলার সাধারণ সম্পাদিকা সুমি দে সাথী জানান, আওয়ামী লীগের ব্যানারে তিনি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন। তিনি নারী সংগঠনে নেতৃত্ব দেয়ায় প্রতিটি ইউনিয়নে তার রয়েছে সক্রিয় নারী সদস্য। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করলে তিনি বিজয়ী হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মহিলা লীগের নেত্রী শাহানা আকতার টিয়া জানান, আওয়ামী লীগের ব্যানারে থেকে আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন। একটি পক্ষ আওয়ামী লীগের মহিলাদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে রেখেছে। গ্রহণ যোগ্যতা ও নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। কলেজ জীবনে ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে দলের প্রতিটি কাজে ভূমিকা রেখেছেন বলে জানান তিনি।