পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের মল্লপাড়া ও খরনা ইউনিয়নের ওয়াহিদুর পাড়া গ্রামে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তিনটি দোকান ভাঙচুর করা হয়।
সংঘর্ষ চলাকালে দু’পক্ষের গুলি ও ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়ার ফলে চারোদিকে আতংক ছড়িয়ে পড়লে সব দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়। জানা যায় এর আগে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই দিন ধরে উভয় গ্রামের লোকজনের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিবাদ চলে এলেও গতকাল তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। তবে এখন ch©šÍ হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।
মল্লাপাড়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনাফ জানিয়েছেন, অতর্কিতভাবে তাদের এলাকার আবদুল হামিদকে মারধর ও জবাই করে হত্যা করার চেষ্টা করেছে ওয়াহিদুর পাড়া এলাকার যুবকরা। খরনা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মোহাম্মদ মামুন, সোহা, ফারুক, শহীদ, জাফর, জসিমের নেতৃত্বে মল্লাপাড়া এলাকার হামিদকে হকিস্ট্রিক ও রাম দা দিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়েছে। এরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্রলীগ নেতা মামুন অভিযোগ করেন,মল্লাপাড়া এলাকার লোকজন বিএনপি ও জামায়াতপন্থী। তারা এলাকায় বিশৃঙ্খলা করতে মারামারির সময় ফাঁকা গুলি করেছে। তাদের পক্ষের কেউ গোলাগুলিতে ছিল না। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিন আগে কচুয়াই ইউনিয়নের মল্লাপাড়ার কয়েক যুবকের সাথে খরনা ইউনিয়নের ওয়াহিদুরপাড়ার এক যুবকের বাকবিতন্ডা ও মারামারি হয়। ওই ঘটনার পর গত শুক্রবার কচুয়াই ইউনিয়নের পারিগ্রাম এলাকার আবদুল হামিদ নামের এক যুবককে উপজেলার ওয়াহিদুর পাড়া এলাকার কয়েকজন যুবক মারধর করে। এই বিরোধের জের ধরে সোমবার সকালে দুই গ্রামের লোকজনের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে পটিয়া থানা পুলিশ ও জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ লাঠি চার্জ করে দুই পক্ষের লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পটিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ জানান, তুচ্ছ ঘটনায় যারাই এলাকায় বিশৃঙ্খলা করুক না কেন তাদেরকে রেহাই দেওয়া হবে না। ওয়াহিদুর পাড়া এলাকার (খরনা ইউনিয়ন) চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, কচুয়াই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইনজামুল হক জসিম ও পুলিশের মধ্যস্থতায় বৈঠকের মাধ্যমে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে বিরোধ মীমাংসা করা হবে বলে জানান।