নোমান-নওফেলের সৌহার্দ্যের আলিঙ্গন

নির্বাচনী প্রচারণায় রাস্তায় দেখা হওয়ার পর বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান ও আওয়ামী লীগ নেতা মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল করমর্দন করছেন।

বিএনপি’র প্রবীণ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান ও আওয়ামী লীগের নবীন নেতা মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। দু‘জনই দু’টি ভিন্ন দলের, আসনও আলাদা। তারপরও আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় রাস্তায় দেখা হওয়ার পর পরস্পরকে আলিঙ্গন করেন তারা।

আজ মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) নগরীর শাহ আমানত মাজার জিয়ারত করে নিজেদের নির্বাচনী এলাকায় যাওয়ার পথে এই সাক্ষাৎ হয় তাদের।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক উত্তাপ এবং কোথাও কোথাও সংঘর্ষের খবরের মধ্যেই সৌহার্দ্যপূর্ণ এই চিত্র দেখা যায় চট্টগ্রামে। বিডিনিউজ

বর্ষীয়ান রাজনীতিক নোমান চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং) আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অপরদিকে তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা নওফেল এবারই প্রথম সংসদ নির্বাচনে লড়ছেন চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনে। এর আগে ওই আসন থেকেই নির্বাচন করতেন নোমান, ১৯৯১ সালে নওফেলের বাবা প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে প্রথমবার হারিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, তিনবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ছিলেন তিনি। বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান নোমান একাধিকবার চট্টগ্রাম থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে খালেদা জিয়ার সরকারে মন্ত্রী ছিলেন।

রাজনীতিতে প্রতিপক্ষ হলেও সবসময় ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালো ছিল মহিউদ্দিন-নোমানের। দুজনেরই পৈত্রিক বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজানে। চট্টগ্রামে ‘মামা-ভাগ্নে’ হিসেবে পরিচিতি ছিল তাদের।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বেলা সোয়া ১২টার পর নগরীর শাহ আমানত মাজারের অদূরে জেল রোড মোড়ে নোমানকে দেখে গাড়ি থেকে নামেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নওফেল।

নোমান শাহ আমানত মাজার জিয়ারত শেষে তার নির্বাচনী এলাকায় যাচ্ছিলেন। তখন নওফেল নির্বাচনী প্রচারণার জন্য যাচ্ছিলেন বক্সিরহাট এলাকার আনসার ক্লাবের দিকে।

এ সময় জেল রোডের মুখে আবদুল্লাহ আল নোমানকে দেখে গাড়ি থেকে নেমে করমর্দন করেন তিনি। পরে কোলাকুলি ও কুশল বিনিময় হয় তাদের। এরপর দুইজনই তাদের কাজে চলে যান।

নওফেলও সকালে শাহ আমানত মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে তার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন।