নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে সোমবার দুপুরের কিছুক্ষণ পর একটি বাংলাদেশি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ওই বিমানে ৬৭ যাত্রী ও ক্রুসহ ৭১ জন আরোহী ছিলেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৩৮ জন নিহত হয়েছেন।বিমানটি থেকে অন্তত ৩০ জন আরোহীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নেপাল পুলিশের বরাত দিয়েছে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। উদ্ধারকৃতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে একজন সাংবাদিক জানিয়েছেন, বাকিদের উদ্ধারে দমকল বাহিনী ও নেপালি সেনাবাহিনী তৎপর চালাচ্ছে।
এর আগে নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সুরেশ আচার্য জানান, ১৭ জন যাত্রী উদ্ধার করা হয়েছে। তাদেরকে জরুরিভাবে বেশ কয়েকটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমানটিতে ৭১ জন আরোহী ছিলেন, যাদের ৬৭ যাত্রী ও চারজন ক্রু। যাত্রীদের মধ্যে ৩০ জনের মতো বাংলাদেশি যাত্রী। আরও প্রায় ৩০ জন নেপালের নাগরিক। বাকিরা বিদেশি, যাদের মধ্যে একজন মালদ্বীপের নাগরিক থাকতে পারেন। তবে এ তথ্য পুরোপুরি নিশ্চিত নয় বলে তারা জানিয়েছেন। ওদিকে, ত্রিভূবন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আরোহীদের মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ, ২৭ জন মহিলা এবং ২ জন শিশু।
ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন সাড়ে তিনটার দিকে জানান, তারা ত্রিভুবন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছে।
ত্রিভুবন বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুর জানান, রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ার পর বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এটি বিমানবন্দরের কাছে ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়।
বিমানটি আজ ঢাকা থেকে নেপালের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এটি দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ত্রিভুবন বন্দরে পৌঁছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মী ও নেপালের সেনাবাহিনী উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে।