নির্বাচনী লড়াই হবে ‘নৌকা’ আর ‘ছাতা’য়

চট্টগ্রাম-১৪ চন্দনাইশ-সাতকানিয়া (আংশিক) আসনে নির্বাচনী প্রচারণায় ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। জোট-মহাজোটের প্রার্থী ছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয় করতে নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। এ আাসনে একাধিক প্রার্থী থাকলেও মূলত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে ‘নৌকা’ আর ‘ছাতা’ প্রতীকের মধ্যে। তবে অন্যরা বসে নেই। কান পাতলে শোনা যায়, ভিন্ন ভিন্ন প্রতীকের পক্ষে মাইকিংয়ের আওয়াজ।
এখানে নির্বাচনী প্রচারে কিছুটা ভিন্নতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এখন প্রার্থীদের ঘরে ঘরোয়া বৈঠক কিংবা এলাকাভিত্তিক দলীয় নেতাদের বাড়িতে উঠান বৈঠককে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রার্থীরা। আবার কোন কোন প্রার্থী সামাজিক মর্যাদার উপর ভিত্তি করে শ্রেণিওয়ারি উঠান বৈঠক ও মতবিনিময় সভা করছেন। এ সকল সভা-সমাবেশে প্রার্থীরা তাদের উন্নয়নমূলক কর্মকা- তুলে ধরার পাশাপাশি তাদের অতীতের দলীয় কোন্দল মিটিয়ে ফেলেছেন বলেও বক্তব্যে উঠে আসে। এ ধরণের ঘরোয়া সভা-সমাবেশ নেতাকর্মীদের উৎসাহ যোগালেও সাধারণ ভোটারদের মন জয় করা কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিজ্ঞমহল। তাছাড়া অনেক প্রার্থী ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেও বেছে নিচ্ছেন। এ ধরণের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রার্থীদের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা- ও দলীয় মতামত তুলে ধরা হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাড়া-মহল্লায়, অলি-গলিতে, হাটে-বাজারে ছেয়ে গেছে নির্বাচনী পোস্টার-ব্যানারে। চায়ের দোকানে নিজ নিজ দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে ভোটের হিসাব চলেছে, সমর্থকেরা মাঝে-মধ্যে তর্ক-বিতর্কেও জড়িয়ে যাচ্ছে। হাশিমপুর এলাকার চায়ের দোকানদার করিম মিয়ার ভোট চিন্তা এবার একটু ভিন্ন। কথায় কথায় বলেছেন, এবারের ভোট প্রাপ্তি হবে বিশেষ করে প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা, অভিজ্ঞতা, বিচক্ষণতা ও এলাকার উন্নয়নমূলক কাজের উপর ভিত্তি করে। সচেতন ভোটাররা এবারের নির্বাচনে জোর করে ভোট নেয়া বা কোন কোন এলাকা ব্লক দিয়ে ভোট প্রদানে বাঁধা দেয়া আর সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেছেন। তবে, ভোটের উত্তাপ এলাকাভিত্তিক দিন দিন বেড়েই চলেছে। ধীরে ধীরে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে ভোট চিন্তা ঢুকেই পড়েছে!
এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তরুণ ভোটারেরা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে তাদের গোল্ডেন ভোট প্রদান করবেন বলে জানিয়েছেন। তাছাড়া তাদের জন্য যে দল বা জোট কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি, সামাজিক নিরাপত্তা বিধান, মাদকমুক্ত সমাজ গঠন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসবে তাদের মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দিয়ে সংসদে পাঠাবে বলে জানিয়েছে।