না ফেরার দেশে আইয়ুব বাচ্চু

না ফেরার দেশে চলে গেছেন জনপ্র্রিয় কণ্ঠশিল্পি আইয়ুব বাচ্চু। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) সকাল সোয়া ৯টার দিকে অসুন্থ হয়ে অচেতন অবস্থায় অবস্থায় এই গুণি শিল্পিকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্কয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ
জানায় তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

২০১২ সালের ২৭ নভেম্বর বাচ্চু ফুসফুসে পানি জমার কারণে স্কয়ার হাসপাতালে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি হন।সেখানে চিকিৎসা গ্রহণের পর তিনি সুস্থ হন।

দেশের জনপ্রিয় এ শিল্পী চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট।

বাংলাদেশের ব্যান্ড সঙ্গীতে অত্যন্ত জনপ্রিয় এ শিল্পী সোলস ব্যান্ডের সাথে লিড গিটারিস্ট হিসেবে যুক্ত ছিলেন দশ বছর। সঙ্গীতজগতে তার যাত্রা শুরু হয় ফিলিংসের মাধ্যমে ১৯৭৮ সালে। অত্যন্ত প্রিয় এই শিল্পী শ্রোতা-ভক্তদের কাছে পরিচিত ছিলেন এবি নামেও যদিও তার ডাক নাম রবিন।

ছোটবেলা থেকেই গিটারের প্রেমে পড়েছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। ব্যান্ডের সঙ্গে তার যাত্রা শুরু ১৯৭৮ সালে ‘ফিলিংস’ ব্যান্ডের মাধ্যমে। তার কণ্ঠ দেয়া প্রথম গান ‘হারানো বিকেলের গল্প’। গানটির কথা লিখেছিলেন শহীদ মাহমুদ জঙ্গী। ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ‘সোলস’ ব্যান্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। তার প্রথম অ্যালবাম ‘রক্তগোলাপ’ প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৮৬ সালে। তবে অ্যালবামটি তেমন সাফল্য পায়নি।

আইয়ুব বাচ্চুর সফলতার শুরু তার দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘ময়না’ (১৯৮৮) দিয়ে। এরপর ১৯৯১ সালে বাচ্চু ‘এলআরবি’ ব্যান্ড গঠন করেন। এই ব্যান্ডের সঙ্গে তার প্রথম ব্যান্ড অ্যালবাম ‘এলআরবি’ প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে। এটি বাংলাদেশের প্রথম দ্বৈত অ্যালবাম। এই অ্যালবামের ‘শেষ চিঠি কেমন এমন চিঠি’, ‘ঘুম ভাঙ্গা শহরে’, ‘হকার’ গানগুলো বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল।

তার একক অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে রক্তগোলাপ (১৯৮৬), ময়না (১৯৮৮), কষ্ট (১৯৯৫), সময় (১৯৯৮),একা (১৯৯৯), প্রেম তুমি কি (২০০২), দুটি মন (২০০২), কাফেলা (২০০২), রিমঝিম বৃষ্টি (২০০৮), বলিনি কখনো (২০০৯), জীবনের গল্প (২০১৫)। ব্যান্ড অ্যালবামগুলো হলো এলআরবি (১৯৯২), সুখ (১৯৯৩), তবুও (১৯৯৪), ঘুমন্ত শহরে (১৯৯৫), ফেরারী মন (১৯৯৬), স্বপ্ন (১৯৯৬), যুদ্ধ (২০১১)।