‘দোহাজারী-সাঙ্গু’ থানা বাস্তবায়নের দাবিতে ৪ আগস্ট সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের দোহাজারী সদর এলাকায় স্মরণকালের বৃহত্তম মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জাফর আলী হিরু’র সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আলোচনায় অংশ নেন ড. আবু রেজা মো. নেজাম উদ্দীন নদভী এমপি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, অধ্যক্ষ মুফতি আহমদ হোসাইন আলকাদেরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবর আলী ইনু, ব্যবসায়ী আলী আজম খান, আবদুল নবী খান, মো. আলী আকবর, এডভোকেট তুষার সিংহ হাজারী, আ.লীগ নেতা যথাক্রমে আবদুল শুক্কুর, বশির উদ্দীন মুরাদ, আবদুল্লাহ আল নোমান বেগ, নবাব আলী, ব্যবসায়ী নেতা লোকমান হাকিম, এম এ রাজ্জাক রাজ, এসএম নাছির উদ্দিন বাবলু, আবিদুর রহমান বাবুল, নজরুল ইসলাম খান, বিএনপি নেতা নুর মোহাম্মদ, আমির হোসেন, এলডিপি নেতা লেয়াকত আলী, প্রধান শিক্ষক বিষ্ণু যশা চক্রবর্ত্তী, মোরশেদ আলী, ফয়েজ আহমদ টিপু, সাবেক মেম্বার যথাক্রমে শাহ আলম, জামাল উদ্দীন।
বক্তারা বলেন, ঐতিহ্যবাহী দোহাজারীকে থানা বাস্তবায়নের দাবিটি দীর্ঘদিন পূর্বে। সেই দাবিকে সমর্থন দিয়ে চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ ড. আবু রেজা মো. নেজাম উদ্দীন নদভী প্রস্তাবিত ‘দোহাজারী-সাঙ্গু’ থানা বাস্তবায়নের জন্য ইতিমধ্যে ডিও দিয়েছেন। বক্তাগণ আরো বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি তৎকালীন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. জিল্লুর রহমান ২০০১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে দোহাজারীকে থানা করার ঘোষণা দেন। তাছাড়া নবম জাতীয় সংসদে তৎকালীন সাংসদ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী আলহাজ নুরুল ইসলাম বিএসসি সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে দোহাজারীকে থানা গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরবর্তীতে তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। সে দাবিকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের প্রশাসনিক বিকেন্দ্রিকরণের অংশ হিসেবে দোহাজারী-সাঙ্গু থানা বাস্তবায়নের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে দুই সংসদ সদস্য ডিও লেটার দেন। তাছাড়া উত্তর সাতকানিয়া ৬ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ এতে সম্মতি প্রদান করায় থানা বাস্তবায়ন একধাপ এগিয়ে যায়। এ সফল বাস্তবায়নকে একটি কুচক্রী মহল বাধাগ্রস্ত করতে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার, বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য উপস্থাপনসহ মানববন্ধনের মতো কর্মসূচি পালন করেছে।