দোহাজারীতে স্ত্রীর সাথে অভিমান করে স্বামীর বিষপানে আত্মহত্যা

চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভা হাতিয়াখোলা গুচ্ছগ্রাম এলাকায় স্ত্রীর সাথে অভিমান করে মোঃ এমরান হোসেন (২২) নামে এক যুবক বিষপানের ৪দিন পর গত ২ জুন বিকালে মারা গেছে বলে জানা গেছে। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।

জানা যায়, গত ৩ বছর আগে উপজেলার দোহাজারী কিল্লাপাড়া এলাকার মোঃ হোসেনে পুত্র এমরান হোসেনের সাথে একই উপজেলার হাতিয়াখোলা গুচ্ছ গ্রামের (পিতা অজ্ঞাত ) রুনা আক্তার (২০) সাথে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক প্রেমের সম্পর্কের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস পর ছেলের পরিবার তাদের মেনে নিতে না পারলেও পরে মেয়ের পরে পরিবার তাদের মেনে নেয় পরে এমরান তার শ্বাশুড় বাড়ীতে ঘর জামাই হিসেবে রুনার সাথে সংসার করে আসছিল।

তাদের দাম্পত্য জীবনে ১ বছরের এক শিশু সন্তান রয়েছে। এমরান একটি সিএনজি ক্রয় করার জন্য শ্বাশুড় বাড়ী থেকে ১ল হাওলাত হিসেবে টাকা চাই । অর্ধেক টাকা তার শ্বাশুড় বাড়ীর লোকজন দিতে পারলে বাকী অর্ধেক টাকা ঈদের পরে দিবে এ নিয়ে স্ত্রী রুনা আক্তারের সাথে এমরানের ঝগড়া সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ওইদিন গত ২৮ মে রাতে সবার অগোচরে বাড়ীর একটি রুমে ঢুকে বিষপান করে ছটপট করতে তাকলে পরিবারের লোকজন তাকে দেখতে পেয়ে দোহাজারী হাসপাতালে নিয়ে আসে সেখানে চিৎকিৎসা শেষে ওদিন তাকে বাড়ীতে নিয়ে আসে।

গত ৩১ মে এমরান অসুস্থ বোধ করলে তাকে আবারও দোহাজারী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২ জুন সকালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে রেফার করে । অর্থের অভাবে চমেক হাসপাতালে না গিয়ে এমরানকে তার শ্বাশুড় বাড়ীর লোকজন বাড়ীতে নিয়ে গেলে সেখানে দুপুর ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে দোহাজারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ বিদ্যুৎ কুমার বড়–য়া ও থানার এসআই আলমাছসহ লাশটি উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন।