রামুর গর্জনিয়ার বড়বিল গ্রামের বাসিন্দা ও দেশের দীর্ঘ মানব জিন্নাত আলীর আয় রোজগারের ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন। তাকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গর্জনিয়া বাজারে ০.০০৩৮ একর জমি বন্দোবস্তি দিয়েছে। সেই জমির ওপর নির্মিত দোকানঘর গত মঙ্গলবার সকাল ১১টায় উদ্বোধন করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন। এ সময় দোকান ঘরের পাশাপাশি জমির ডিসিআর ও দোকানের সামগ্রী জিন্নাত আলীকে হস্তান্তর করে জেলা প্রশাসক দোকানের প্রথম ক্রেতা হিসাবে দুটি টিস্যুর প্যাকেট ক্রয় করেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, জিন্নাত আলী এতদঅঞ্চলের সম্পদ। তাকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জমিসহ দোকান ঘর দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী তাকে তার আদলে বসতবাড়িও নির্মাণ করে দেয়া হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) চাই থোয়াইহলা চৌধুরী, গর্জনিয়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদ, গর্জনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু মো. ইসমাইল নোমান প্রমুখ। এদিকে জিন্নাত আলীর দোকানঘর উদ্বোধনস্থলে ছিল উৎসুক জনতার ঢল।
গর্জনিয়া ইউনিয়নের সামাজিক সংগঠক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে অসুস্থ দীর্ঘ মানব জিন্নাত আলীর খবর প্রচারিত হওয়ার পর স্থানীয় সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল গত বছরের ২৪ অক্টোবর জিন্নাত আলীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করান। এরপর থেকেই তার ভাগ্য খুলে যায়।
রামু উপজেলা যুবলীগ সম্পাদক নীতিশ বড়–য়া বলেন, জিন্নাতের চিকিৎসার দায়িত্বের পাশাপাশি বসতঘর ও দোকানঘর নির্মাণ করে দেয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর জিন্নাত আলী আওয়ামী লীগে যোগ দেন। বিগত সংসদ ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালান।