দরজায় কড়া নারছে এশিয়া বিশ্বকাপ এই মুহূর্তে ইনজুরিতে সাকিব!!!

বর্তমান সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন অলরাউন্ডার সাকিবের স্ত্রী এবং সন্তান। পবিত্র হজ পালন শেষে সাকিবের যাওয়ার কথা ছিল যুক্তরাষ্ট্রে কিন্তু তিনি যুক্তরাষ্ট্রে না গিয়ে গতকাল তিনি দেশে ফিরেছেন। দেশে ফিরে আসার উদ্দেশ্য হচ্ছে কিভাবে এবং কখন আঙ্গুলের অপারেশন করাবেন। সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের মাঝপথেই খবর বের হয় বাঁ হাতের আঙুলে পুরনো ব্যথার কারণে আরেক বার অপরেশানের মুখোমুখি হতে হবে বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। কিন্তু সামনে বাংলাদেশের ব্যস্ত সময়। যার মধ্যে আর ১৫ দিন পর শুরু হবে এশিয়া কাপ। এমতাবস্থায় সাকিবের আঙুলে সার্জারি করা হলে নিশ্চিতভাবেই যে কয়েক মাস সাকিবকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে তা জানা সকলেরই। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এশিয়া কাপে সাকিবকে না পেলে যে কমে যাবে দলীয় শক্তি। তাই অন্তত এশিয়া কাপে সাকিবকে দলে চাওয়ার ইচ্ছা জানিয়েছিলেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। যদিও পরে তিনি সার্জারির ব্যাপারে পূর্ণ স্বাধীনতাই দেন সাকিবকে। সার্জারির বিষয়টি আমি সাকিবের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। সাকিবের ইচ্ছেমত সময়েই হবে সার্জারি। এদিকে সাকিবের আঙুলের সার্জারি নিয়ে মিলেছে নতুন তথ্য। সহসাই সাকিবের সার্জারির ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব নয়। বেশকিছু দিক চিন্তা করে তবেই নেয়া যাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। বিসিবি প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানান সাকিব দেশে ফেরার পর তার বাঁহাতের কনিষ্ঠা আঙুলে স্ক্যান করা হবে। সেই স্ক্যান রিপোর্ট পাঠানো হবে অস্ট্রেলিয়ায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে। যদি সাকিব এশিয়া কাপের আগে অপারেশন করান তাহলে তাকে অস্ট্রেলিয়া যেতে হবে। ডা. দেবাশীষ বলেন, সার্জারি করতে হলে অস্ট্রেলিয়ান বিশেষজ্ঞকে আগে দেখাতে হবে সাকিবের অবস্থা। তিনি স্ক্যান রিপোর্ট ও সাকিবের আঙুলের অবস্থা দেখেই সিদ্ধান্ত নেবেন কি ধরনের চিকিৎসা দরকার। দু’ধরনের অপারেশন হতে পারে। একটি তুলনামূলক ছোট ও ঝক্কি কম। তাতে করে সাকিবের বাঁ হাতের কনিষ্ঠা আঙুলের ব্যথা কমবে। পাশাপাশি বোলিংয়ের সময় যে সমস্যা হচ্ছে তা নিরসন হবে। এই ধরনের ছোট অপারেশনে দেড় মাসের মধ্যেই সুস্থ হয়ে যাওয়ার কথা সাকিবের।

আরেকটি অপারেশন আছে, সেটি বেশ বড়। তা করালে সাকিবকে তিন মাসের জন্য মাঠের বাইরে কাটাতে হতে পারে। কাজেই ব্যাপারটা একটু গোলমেলে। খালি চোখে মনে হচ্ছে বিসিবি প্রধান ও সাকিব আল হাসান বসেই ঠিক করতে পারবেন কবে কখন অপারেশন করা হবে। আসলে ব্যাপারটি তা নয় অপারেশনের ধরন এবং অজি বিশেষজ্ঞের চিন্তা–ভাবনার উপরেই নির্ভর করবে ছোট না বড় কোন অপারেশন সাকিবের জন্য দরকার। কাজেই এখনই হোক কিংবা পরে এই আঙুলের সার্জারির কারণে সাকিবকে কিছুদিন ক্রিকেটের বাইরে থাকতেই হবে। তা দেড় মাস না তিন মাস সেটাই দেখার। যা অস্ট্রেলিয়ান বিশেষজ্ঞ সাকিবকে দেখেই কেবল জানাতে পারবেন। সামনে টানা ব্যস্ত শিডিউল। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে এশিয়া কাপ। তা শেষ হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যেই জিম্বাবুয়ের সাথে হোম সিরিজ, এর পরপরই আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নতুন বছরের শুরুতে বিপিএল, যা শেষ করেই নিউজিল্যান্ড সফর ও এরপরে ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপের ব্যস্ততা। কাজেই এর মাঝে সময় বের করা কঠিন। সে কারণেই প্রশ্ন উঠেছে এশিয়া কাপের আগে কিংবা পরে বড় কথা নয়, সাকিব কি আপাতত অপারেশন করাবেন।