তিতলির তান্ডবে সাতকানিয়ার কৃষকের মাথায় হাত।

ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে সাতকানিয়ায় শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কৃষি বিভাগ সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে সাতকানিয়ার শংখনদে রোপন করা আগাম শীতকালীন সবজির ৫০ ভাগ ক্ষেত নষ্ট যাওয়ার মতো হয়ে গেছে। যেসব ক্ষেতের ফসল উৎপাদনের কাছাকাছি পৌঁছেছে সেসব ক্ষেতে ফসল নষ্ট হওয়ার আশংখা অনেকটা কম হবে জানিয়ে ইতিমধ্যে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সবজি খেতে ছত্রাক নাশক প্রয়োগের পরামর্শ দেয়া হয়েছে । তবে যেসব খেতে নতুন বীজ বা চারা রোপন করা হয়েছে সেগুলো শতভাগ নষ্ট হয়ে যেতে পারে এমনটিই ধারনা করছেন কৃষি বিভাগ।
সাধারণত শংখচরের সবজিচাষীরা ভাদ্র মাসের শেষদিকে বর্ষা মৌসুম শেষ হয়ে আসার সাথে সাথে আগাম শীতকালীন সবজি বিশেষ করে বেগুন, মুলা, শিম, বরবটি, তিতকরলা, ঢেড়শ, লাউ, শশা, খিরাসহ বিভিন্ন প্রজাতির সবজির চাষ করে থাকেন। চলতি বছরে প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকায় সাতকানিয়া উপজেলায় আগাম শীতকালীন সবজির চাষ করা হয়েছিল।
শঙ্খচরের সবচেয়ে বেশি চাষাবাদ করা কৃষক নুরুল ইসলাম নুরু জানান, বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে প্রথম দফা মুলা তুলে বিক্রি করতে পারলেও দ্বিতীয় দফায় চাষ করা ৫ একর জমির মুলা খেতেই পঁচে নষ্ট হয়ে যাবে। মুলার পাশাপাশি তার আরো ৩ একরের মতো ফুলকপি ও বাঁধাকপির ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন তিনি।
একই দুঃখের কথা শোনালেন সবজিচাষী আবুল মনসুর, জমির উদ্দীন, আহমদ শফি, আলী আহমদ, হোসেন আলী, আবদুস ছবুর, বাদশা মিয়া, আবদুর রাজ্জাক, আবুল কাশেম, নুনু মিয়া, মোহাম্মদ নুরুন্নবী, মোহাম্মদ হাসান, মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ সাদেক, নুর হোসেন, আবদুর রহমান, মোহাম্মদ আবুসহ আরো অনেকেই।
সবাই হতাশার সঙ্গে জানালেন জমির মালিকের কাছ থেকে নগদ টাকা বাৎসরিক খাজনায় জমি নিয়ে হাজার হাজার টাকা খরচ করে বিভিন্ন ধরনের আগাম শীতকালীন সবজির চাষ করেছিলেন। এসব চাষীদের অভিযোগ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্ন কারণে প্রতি বছর শংখচরের চাষীরা ক্ষতির সম্মুখিন হলেও এ বিষয়ে কেউ কোন খবর নেয়না। শংখচরের ক্ষতিগ্রস্ত এসব চাষীদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতিও আবেদন জানিয়েছেন তারা।