স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আমিন (১৬) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বন্ধু আদনান মির্জাকে (১৬) আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (০২ মে) সন্ধ্যায় নগরের খুলশী থানার জালালবাদ হাউজিং সোসাইটি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশের কর্ণফুলী জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযান চালিয়ে আদনান মির্জা নামে তাসফিয়ার এক বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
এর আগে বুধবার (০২ মে) সকালে নগরের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের ১৮ নম্বর ঘাটে পাথরের ওপর থেকে সা্নসাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী তাসফিয়া আমিনের মরদেহ উদ্ধার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ।
স্কুলছাত্রী তাসফিয়ার মৃত্যুর ঘটনাটি রহস্যজনক বলে ধারণা করা হচ্ছে জানিয়ে পুলিশের এসি মো. জাহেদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘তাসফিয়ার বন্ধু আদনান মির্জা। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে বাসায় কাউকে না জানিয়ে তাসফিয়া বাসা থেকে বেরিয়ে চায়না গ্রিল নামে একটা রেস্টুরেন্টে বন্ধু আদনানের সাথে দেখা করে। পরে মায়ের ফোন পেয়ে দ্রুত বাসায় ফেরার জন্য তাসফিয়াকে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে দেন আদনান। কিন্তু বাবা-মা’র ভয়ে তাসফিয়া বাসায় ফেরেনি বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাসফিয়া রাত নয়টার পরও বাসায় না ফেরায়, তার বাবা-মা দুঃশ্চিন্তায় পড়ে যান। পরে আবারও আদনানকে ফোন করে তাসফিয়ার খবর জানতে চান। তাসফিয়াকে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়ার কথা জানায় আদনান।’
অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে পুলিশের এসি মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধারের পর আমরা স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছি। স্থানীয়রা, তাসফিয়াকে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের ১৮ নম্বর ঘাট এলাকায় একা বসে থাকতে দেখেছেন। পরদিন সকালে ওই মেয়েটির মরদেহ পাওয়া গেছে। ‘হত্যা নাকি আত্মহত্যা’ বিষয়টি রহস্যজনক বলে ধারণা করা হচ্ছে।