জামেয়া দারুল মা’আরিফ আল-ইসলামিয়া, চট্টগ্রাম এর সহকারী পরিচালক,বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন ও গবেষক ড. জসিম উদ্দীন নদভী রহ. স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল ১১ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটায় জামেয়ার মসজিদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
জামেয়ার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, বরেণ্য আলেমেদ্বীন আল্লামা মুহাম্মদ সুলতান যওক নদভীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ছিলেন, চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি বলেন, ড. জসিম উদ্দীন নদভী ছিলেন বহুমুখী প্রতিভাধর একজন আলেমেদ্বীন। তিনি ছিলেন একাধারে আলেম, গবেষক, আরবি ভাষার পণ্ডিত, সমাজসেবক। তাঁর অকাল মৃত্যুতে দেশ-জাতি ও মুসলিম মিল্লাতের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। পারস্পরিক হৃদ্যতাপূর্ণ সুসম্পর্কের কথা স্মরণ করে ড. নদভী এমপি বলেন, অমায়িকতা ও বিনয়ী স্বভাব ছিল তাঁর অন্যতম চারিত্রিক ভূষণ। তিনি ছিলেন সদালাপী, বন্ধু বৎসল্য, অতিথিপরায়ণ। উদার ও অমায়িক এ মানুষটির সান্নিধ্যে এসে যে কেউই মুগ্ধ না হয়ে পারতেন না। তাঁর কর্মদক্ষতা, মানবিক গুণাবলী, সামাজিক শিষ্টাচারিতা বর্তমান প্রজন্মের জন্য প্রেরণা। তিনি বলেন,সুদীর্ঘকাল ধরে তাঁকে অত্যন্ত কাছে থেকে দেখার এবং জানার সুযোগ হয়েছে। তিনি আমাকে যেমন সম্মান করতেন, আমিও তাঁকে খুব স্নেহ করতাম, বিভিন্ন বিষয়ে আমার দিক নির্দেশনা নিতেন এবং যোগাযোগ রাখতেন প্রতিনিয়তই। জামেয়া দারুল মা’আরিফ এর কল্যাণে তাঁর অবদানের কথা উল্লেখ করে ড.আবু রেজা নদভী এমপি আরো বলেন, সংক্ষিপ্ত জীবনের সবটায় ড. মাওলানা জসিম উদ্দিন নদভী এই দ্বীনি প্রতিষ্ঠানটির জন্য উজাড় করে দিয়েছেন। কীর্তিমানদের মৃত্যু নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁর অবদান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি ড. জসিম উদ্দীন নদভীর মাগফিরাত কামনার পাপাশাপাশি তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা যওক নদভী বলেন, ‘ড. জসিম উদ্দীন নদভীর সারাটা জীবন অতিবাহিত হয়েছে জামেয়া দারুল মা’আরিফে। জামেয়ার জন্যে তাঁর সময়, শ্রম, ত্যাগ অনস্বীকার্য। তার ইন্তেকালে জামেয়ার যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। তার অবদান চিরদিন কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করা হবে।’
জামেয়ার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা এনামুল হক মাদানী ও মাওলানা আফীফ ফুরকান মাদানীর উপস্থাপনায় এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, জামেয়া দারুল মা’আরিফের উপ-পরিচালক আল্লামা মুহাম্মদ ফুরকানুল্লাহ খলীল, জামেয়া ইসলামিয়া পটিয়ার সিনিয়র মুহাদ্দিস ও মুফতি আল্লামা মুফতি শামসুদ্দীন জিয়া, জামেয়া ইসলামিয়া পটিয়ার মুঈনে মুহতামিম আল্লামা আবু তাহের নদভী, দৈনিক ইনকিলাবের সহ-সম্পাদক উবায়দুর রহমান খান নদভী, প্রফেসর ড. গিয়াস উদ্দিন তালুকদার, প্রফেসর ড. ইউনুস খান, ড. নুরুল আমিন নুরী, প্রফেসর ড. শাফিউদ্দীন মাদানী, প্রফেসর ড. মুস্তাফা কামিল মাদানী, ড. শাকের আলম শওক, ড. আতাউর রহমান নদভী, ড. মোজাফফর নদভী, ড. মুহাম্মদ আমিনুল হক, বনফুলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলহাজ্ব আব্দুুস শুকুর, ড. জসিম উদ্দীন নদভীর গর্বিত পিতা আলহাজ্ব মুহাম্মদ ইসমাইল, মাওলানা শহীদ উল্লাহ কাওসার, মাওলানা ওবায়দুল কাদের নদভী, মাওলানা জুলফিকার আলী নদভী, জনাব হেমায়েত হুসাইন, মাওলানা নুরুল আমিন মাদানী, মাওলানা আব্দুস সালাম রিয়াদী, মাওলানা হাফেজ ফরিদ আহমদ আনসারী, মাওলানা নোমান হাসান, মুফতি মাসুম, হাফেজ খুরশিদ আলম, আলহাজ্ব মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, মাওলানা হাসান, মাওলানা মুজিবুর রহমান, মাওলানা মুহাম্মদ নুর আনোয়ারী, মাওলানা মনসুরুল হক জিহাদী, মাওলানা গোলাম মওলা, মাওলানা তোয়াহা দানেশ, মাওলানা হাবিবুল্লাহ, মাওলানা মাহমুদ মুজিব, মাওলানা ইকবাল খলীল, শিবলী নোমানী, মাওলানা মাহমুদ উল্লাহ মোজাফফর প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ড.জসিম উদ্দিন নদভী সপরিবারে ওমরাকালীন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে গত ৮ এপ্রিল দিবাগত রাত ১.৩০ সময়ে পবিত্র মক্কা নগরীতে ইন্তেকাল করেন।