ড. ইউনূস ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় টাইম ম্যাগাজিনে

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ( ফাইল ছবি )
টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত ছবিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও সামাজিক উদ্যোক্তা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বিশ্বজুড়ে প্রভাব বিস্তারকারী ১০০ ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে বিখ্যাত মার্কিন সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিন। এই মর্যাদাপূর্ণ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও সামাজিক উদ্যোক্তা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।তালিকায় বিশ্বনেতা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, উদ্ভাবক ও সাংস্কৃতিক আইকনদেরও নাম রয়েছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকায় আরও আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইলন মাস্ক, জেডি ভ্যান্স, ক্লডিয়া শেইনবাউম, টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস, ডেমি মুরসহ বাঘা বাঘা ব্যক্তিরা।

অর্থনৈতিক খাতসহ ড. ইউনূস এ স্বীকৃতি পেয়েছেন সামাজিক পরিবর্তন ও মানবিক নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন। ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের পর একটি স্বচ্ছ ও মানবিক নেতৃত্বের প্রত্যাশায় বাংলাদেশি জাতি যখন আশাবাদী, তখন ড. ইউনূস হয়েছেন গণতন্ত্রের পথপ্রদর্শক।

টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে ড. ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংকের ভূমিকা, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তার ক্ষুদ্রঋণ মডেলের বিস্তার ও নারীর ক্ষমতায়নে তার অনন্য অবদান বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন টাইমের জন্য লেখা এক প্রবন্ধে ইউনূসের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তিনি শুধু অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটাননি, বরং বিশ্বের প্রান্তিক মানুষের জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছেন। এখন তিনি আবার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য যেমন গর্বের, তেমনি ভবিষ্যতের জন্য এক অনুপ্রেরণাও বটে।

তিনি আরও বলেন, অনেক আগেই ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে নারীদের, ক্ষুদ্রঋণের সুযোগ দিয়ে আত্মনির্ভরতার পথে এগিয়ে যেতে সহায়তা করেছিলেন। তার এই অনন্য উদ্যোগের ফলে লাখ লাখ মানুষ, যাদের মধ্যে ৯৭ শতাংশ নারী, নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছেন, পরিবারকে আর্থিকভাবে সাপোর্ট দিয়েছেন এবং নিজেদের সম্মান ও মর্যাদা পুনরুদ্ধার করেছেন।

ম্যাগাজিনের মুখবন্ধে হিলারি ক্লিনটন লিখেছেন- গত বছর শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরশাসক প্রধানমন্ত্রীর পতনের পর, বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ও খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।