তিনি বলেন, সেতুর প্রথম স্প্যান বসানো হয়েছে। দ্বিতীয় স্প্যান বসাতে একটু সময় লাগে। এরপর অন্যান্য স্প্যান বসাতে আমাদের আর ভাবতে হবে না। এর মধ্যে আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা হিসেব করে দেখেছি- যথাসময়ে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে।
আনুষ্ঠানিক কাজ শুরুর প্রায় পৌনে দুই বছর পর গত সেপ্টেম্বরে বিশাল পদ্মার বুকে দৃশ্যমান হয় সেতুর মূল কাঠামো বা স্প্যান। পদ্মার জাজিরা প্রান্তে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের উপর বসানো হয় প্রথম স্প্যান। এই কাঠামোর উপর দিয়েই চলবে যানবাহন।
সেতু বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, ২৮ হাজার ৭শ ৯৩ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৫১ শতাংশ। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুর মূল অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ৪২টি পিলারের উপর ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। তবে এখন পর্যন্ত বসেছে মাত্র একটিই।
ডিসেম্বরে সেতু চালু করতে হলে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের বাকি ৪০টি স্প্যান বসানোর কাজ এবছরই শেষ করতে হবে।
এ লক্ষ্যে পদ্মার দুপাড়েই দিন-রাত কাজ করছেন হাজারো দেশি-বিদেশি কর্মী।
তবে বৈরি আবহাওয়া ও বিশাল কর্মযজ্ঞের কারণে নির্ধারিত সময়ে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ করা কঠিন হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
নির্মাণ কাজ শেষ করতে তাড়াহুড়ো না করে সময় নিয়েই করার পরামর্শও দেন তারা।
নগর গবেষণা কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, তোড়জোড় নয়, বরং মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতুর কাজ সবদিক বিবেচনায় নিয়ে সাবধানতার সঙ্গেই অগ্রসর হতে হবে।