টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ খেলেই ক্রিকেটের এই কুলীন সংস্করণকে বিদায় জানাবেন তিনি।
আজ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে এমনটা জানান এই অলরাউন্ডার। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আর দেখা যাবে না তাকে। সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের জার্সিতে খেলে ফেলেছেন নিজের শেষ টি-টোয়েন্টি।
বেশ লম্বা সময় ধরেই দেশের বাইরে আছেন সাকিব। অবশ্য এই সময়টায় বাংলাদেশও ঘরের মাটিতে কোনো ম্যাচ খেলেনি। তবে আগামী অক্টোবরে দুটি টেস্ট খেলতে ঢাকায় আসবে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই সিরিজ দিয়ে টেস্টে ক্রিকেটে ইতি টানার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। যদিও দেশের মাটিতে খেলতে পারবেন কি না তা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা, যেহেতু এখন তার নামে হত্যা মামলা হয়েছে।
সাকিব বলেন, ‘দেশের সমর্থকদের সামনে টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করাটা উপযুক্ত হবে বলে মনে হচ্ছে আমার। বাংলাদেশ ক্রিকেট আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে এবং এই ফরম্যাটের শেষটা আমি ঘরের মাঠেই খেলতে চাই। আমি বিসিবির কাছে নিজের শেষ টেস্টটি মিরপুরে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছি। যদি তা না হয়, তাহলে কানপুরে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটিই হবে আমার শেষ টেস্ট। ’
‘ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপে আমি আমার শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ফেলেছি বলে মনে করি। বিসিবির সঙ্গে আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমার মনে হয় নতুনদের সুযোগ দেওয়া উচিত। তাদের দেখা এটাই সবচেয়ে ভালো সুযোগ। ২০২৬ সালের দিকে যদি বাংলাদেশ ক্রিকেট তাকায়, তাহলে এটাই বাংলাদেশের জন্য ভালো। আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সবাই একমত। কোনো আক্ষেপ রেখে আমি এই সিদ্ধান্ত নিইনি। ’
টেস্ট ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ৭০টি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। ২০০৭ সালে অভিষেকের পর থেকে ৫ সেঞ্চুরি ও ৩১ ফিফটিসহ ৩৮.৩৩ গড়ে ৪ হাজার ৬০০ রান করেছেন তিনি। এছাড়া বল হাতে শিকার করেছেন ২৪২ উইকেট। এর মধ্যে ফাইফার পেয়েছেন ১৯ বার ও ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন দুবার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১২৯ ম্যাচ খেলে নিজের ঝুলিতে যোগ করেছেন ২ হাজার ৫৫১ রান ও ১৪৯ উইকেট।