নগরের আগ্রাবাদের সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক মার্কেটের ৬-১১ তলায় গড়ে তোলা হচ্ছে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের বাস্তবায়নাধীন ‘কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কের’ উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে নির্মাণাধীন এ পার্কে ২ হাজার ৫০০ জনের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হবে।
সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে নির্মাণকাজের করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, পার্কের উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক এএসএম সফিকুল ইসলাম, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা প্রমুখ।
হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, এ পার্কের জন্য মার্কেটটি ৬-১১তলা পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা হবে। এর জন্য ব্যয় হবে ৩০ কোটি টাকা। যা দেবে বিশ্বব্যাংক। বাস্তবায়নে থাকবে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এ পার্কে মোট ফ্লোরের আয়তন হবে ১ লাখ ৮ হাজার বর্গফুট। পার্কের সুযোগ সুবিধার মধ্যে প্রতি ফ্লোরে ন্যূনতম ২০ হাজার বর্গফুট আইটি সম্বলিত স্পেস এবং পুরুষ, নারীও প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা টয়লেট ব্লক থাকবে। এছাড়া টপ ফ্লোরে ৫০০ জন ধারণক্ষমতার ১টি কনভেনশন হল, ষষ্ঠ তলায় শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ১টি মসজিদ থাকবে। চলতি বছরের মধ্যেই এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এ পার্কে প্রায় ২ হাজার ৫০০ জনের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হবে। চসিক ও বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মধ্যে ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই এ ব্যাপারে চুক্তি হয়। চুক্তিমতে প্রথম ৩০ বছর এ পার্ক থেকে ৫০:৫০ রাজস্ব চসিক ও হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ভাগাভাগি করে নেবে। পরবর্তী সময়ে এ চুক্তি নবায়ন হবে।২০২০ সালের ১ জানুয়ারি পার্কের কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্পের ড্রয়িং ডিজাইনিং এবং কনসালটেন্সি করেছে ত্রিমাত্রিক আর্কিটেক্ট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং।