সাম্প্রতিককালে টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি পানির ঢলে উপজেলার কলাউজানে টংকাবতী খালের অব্যাহত ভাঙনে বসতবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেকোন মুহূর্তে বিলীন হয়ে যেতে পারে কলাউজান দারুচ্ছুন্না আলিম মাদ্রাসা ও পূর্ব কলাউজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এছাড়াও পূর্ব কলাউজান মিয়াজি পাড়ার ৪০ পরিবার ঝুঁকি নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে দিনযাপন করছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এম. এ. ওয়াহেদ। তিনি আরো জানান, সাম্প্রতিককালের বন্যায় ইউনিয়নের রসুলাবাদ ও চিববাড়ি এবং পূর্ব কলাউজান মিয়াজি পাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা ও বহু জনবসতি হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। পূর্বে খালের গর্ভে বসতবাড়ি বিলীন হওয়া আশরাফ আলী, আহমদ কবির ও ফৌজুল কবির পরিবার-পরিজন নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
অপরদিকে, বর্তমানে মিয়াজি পাড়ার ৪০ পরিবারের মধ্যে ৫ পরিবারের বসতবাড়ি অত্যন্ত ঝুঁকিতে রয়েছে। বসতবাড়ির লোকজন খাল ভাঙন আতঙ্কে কালযাপন করে যাচ্ছেন। এমনকি ভাঙন আতঙ্কে স্থানীয় জাফর আহমদ, বদরু, কুদ্দুস, সোয়াইব, করিম, খলিল ও আজিজ প্রমুখ তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে আবেগ-উৎকণ্ঠায় কালযাপন করছেন। এছাড়াও কলাউজান দারুচ্ছুন্না আলিম মাদ্রাসা ও পূর্ব কলাউজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন গ্রামের আবদুল আলিম, আবদুস ছপুর, মো. আইয়ুব, মো. মফিজ, মো. এরশাদ, আবদুল আজিজের বসতবাড়ি টংকাবতী খালের ভাঙনের সম্মুখীন বলে লোকজন জানিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান আরো জানান, ইউনিয়নের কানুরাম বাজারের উত্তর পার্শ্বে ডিসি সড়ক রক্ষার্থে ১৯৯৬-২০০০ সালে প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড টংকাবতী খালের ভাঙন রোধে ব্লক পাথর স্থাপন করেছিল। কিন্তু বর্তমানে ব্লক স্থাপনকৃত জায়গার পাশে নতুনভাবে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে যেকোন মুহূর্তে সড়ক বিধ্বস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।
বসতবাড়ি, সড়ক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রক্ষার্থে টংকাবতী খালের অব্যাহত ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয় জনগণ। খবর দৈনিক পূর্বকোণ।