বুধবার হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, তারা লাখ লাখ, কোটি কোটি ডলার সাহায্য নিচ্ছে, আর আমাদেরই বিরুদ্ধে ভোট দিচ্ছে। ঠিক আছে, কারা এ ভোট দেয় আমরা দেখছি। তারা আমাদের বিরুদ্ধে ভোট দিক। আমরাও প্রচুর অর্থ বাঁচাব। এতে আমাদের কিছু যায় আসে না।
১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ট্রাম্পের জেরুজালেম ঘোষণা প্রত্যাহারের চেষ্টায় আজই একটি জরুরি বৈঠকে বসছে।
আরব ও মুসলিম দেশগুলোর অনুরোধেই এ বিরল অধিবেশন ডেকেছে সাধারণ পরিষদ। ট্রাম্পের জেরুজালেম ঘোষণা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে পেশ করা খসড়া প্রস্তাবনা নিয়ে পরিষদে ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে।
গেলো সোমবার ১৫ সদস্যের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র এ প্রস্তাবে ভেটো দেয়ার পর বিষয়টি সাধারণ পরিষদে তোলা হচ্ছে।
এর আগে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালিও একই ধরনের হুমকি দেন। মঙ্গলবার তিনি বলেন, সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবে ভোট দিলে সদস্য দেশগুলোকে দেখে নেয়া হবে। একটি চিঠিতে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী এ প্রস্তাবে কোন কোন দেশ ভোট দিচ্ছে প্রেসিডেন্ট তার রিপোর্ট চেয়েছেন।
পরে এক টুইটে হ্যালি বলেন, জাতিসংঘে আমাদেরকে সবসময় বেশিকিছু করতে বলা হয়। বেশি বেশি সাহায্য দিতে বলা হয়। সুতরাং আমরা যখন দেশের মানুষের ইচ্ছা অনুযায়ী আমাদের দূতাবাস সরানোর মতো কোনো সিদ্ধান্ত নেই, তখন যাদেরকে আমরা সাহায্য করছি, তারা আমাদেরই বিপক্ষে যাবে সেটি আশা করি না।
প্রস্তাবে ভোট দেয়া প্রত্যেকটি দেশকে যুক্তরাষ্ট্র মনে রাখবে এবং তাদের নাম টুকে নেবে বলেও হুমকি দেন হ্যালি।
যদিও কূটনীতিকরা মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের এ হুমকি-ধামকির কোনো প্রভাবই ভোটে পড়বে না।
তবে শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।