হুমায়ূন আহমেদের ‘অয়োময়’ নাটকে পাখালের ভূমিকায় অভিনয় করে দর্শকনন্দিত হয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে টিকিয়ে রাখতে এক সময় নাম লেখান চলচ্চিত্র শিল্পীদের খাতায়। পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে কমেডিয়ান চরিত্রে অভিনয় করে সুস্থ বিনোদন দিয়ে গেছেন দেশের মানুষকে। হানিফ সংকেতের জনপ্রিয় টিভি ম্যাগাজিন ‘ইত্যাদি’তে ভাগ্নে চরিত্রের মাধ্যমে তিনি ফুটিয়ে তোলেন সমাজের নানা অসঙ্গতিকে।
সেই জনপ্রিয় অভিনেতা আফজাল শরীফ বিগত চার বছর ধরে মেরুদণ্ড, কোমর ও হাড়ের অসহ্য ব্যথায় ভুগছেন। কিছুদিন পরপর থেরাপি নিতে হচ্ছে তাকে। আর এজন্য তার পরিবারকে ব্যয় করতে হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। চিকিৎসার এই বিশাল ভার বহন করতে অপারগ হয়ে শেষপর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চাইলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেতা।
আফজাল শরীফ বলেন, ‘গত চার বছর মেরুদণ্ড, কোমরের হাড় ও পায়ের ব্যথায় ভুগছেন। দেশে এতদিন চিকিৎসা নিয়েছিলেন। কিন্তু অবস্থার উন্নতি হয়নি। ব্যথা উঠলেই থেরাপি দিতে হয়। দেশের বাইরে থেকে চিকিৎসা নিলে হয়তো সুস্থ হতে পারবেন। সেজন্য প্রয়োজন মোটা অংকের টাকা।’
তিনি জানান, ‘অনেক কষ্টে জীপনযাপন করছি। আগের মতো নিয়মিত শুটিং করতে পারি না। কোমরে সবসময় ব্যথা থাকে। বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে পা ব্যথা শুরু হয়, ফুলে যায়। এতে রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা হয়।’
আফজাল শরীফ বলেন, ‘আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিল্পী বান্ধব। তিনি সবসময় শিল্পীদের পাশে থেকেছেন। আশা করছি, আমার অসুস্থতা ও চিকিৎসার বিষয়টিও তিনি দেখবেন। আমি আবার আগের মতো সুস্থ থেকে কাজ করতে চাই।’
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) শিল্পী ঐক্যজোটের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক এবং নাট্যনির্মাতা জি.এম সৈকত আবেদনসহ আফজাল শরীফকে নিয়ে যান প্রধানন্ত্রীর কার্যালয়ে। ওইদিন আফজাল শরীফের চিকিৎসার খরচ বাবদ আবেদনটি জমা দেয়া হয়েছে।
নির্মাতা জি.এম সৈকত জানান, প্রধানমন্ত্রীর অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার মোহাম্মদ শামীম মুসফিক আফজাল শরীরের চিকিৎসার জন্য সহায়তার আবেদন গ্রহণ করেছেন। শিগগির আফজাল শরীফকে প্রধানমন্ত্রী ডাকবেন বলে আশা করেন তিনি।