বাজার থেকে এসেই খাবার, ফল বা শাক সবজি সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজে রাখি। কিন্তু জানেন কি, এমন কিছু ফল আছে যা ফ্রিজে রাখলে পুষ্টিগুণ তো মিলবেই না বরং হয়ে উঠবে বিষাক্ত। ফলে খাদ্যে বিষক্রিয়া ঘটে জটিল শারীরিক সমস্যা হতে পারে।
কার্বাইড দিয়ে পাকানোই হোক বা গাছপাকা কিছু ফল আছে যা ফ্রিজে রাখা ক্ষতিকারক। ঠা-ার সংস্পর্শে আসলে রাসায়নিকগুলোর নানা বিক্রিয়া ঘটে। তাই কিছু ফল ফ্রিজ থেকে দূরে রাখা উচিত। পুষ্টিবিদদের মতে, এই সব ফল চালের ড্রামে রাখতে হবে। তবে চাইলে পরিষ্কার ঝুড়িতে বা নরম কাপড়ে মুড়ে শুকনো জায়গাতেও রাখতে পারেন।
লেবু : যেকোনো লেবুতে অ্যাসিডের পরিমান বেশি থাকে। ফ্রিজের তাপমাত্রা অত্যন্ত কম থাকায় লেবুর অ্যাসিডিক গুণ নষ্ট হয়। ফ্রিজের কৃত্রিম ঠা-ায় কমলালেবুর খোসা ও লেবুর শাঁস শুকিয়ে যায়। অতিরিক্ত ঠা-ায় সেগুলো খারাপ হয়ে বিষাক্ত হয়ে যায়।
শশা : খুব গরম আর খুব ঠা-া কোনোটাই শশার জন্য ভাল নয়। ফ্রিজে রাখলে শশা শুকিয়ে যায় এবং এর পুষ্টিগুণও নষ্ট হয়। কম আলো ও কম ঠা-া এমন জায়গায় রাখুন শশা। ফ্রিজের নিচে যে অতিরিক্ত তাক থাকে, সেখানেই রাখুন এই ফল।
আপেল : ফ্রিজে রাখলে আপেলের খোসা দ্রুত শুকিয়ে যায়। আপেলের মধ্যে থাকা ট্রিটারপেনয়েড ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। কিন্তু ফ্রিজের তাপমাত্রায় এটি নষ্ট হয় ও আপেলের কোষের পচন ধরায়। তাই এমন ফল খেলে বিষক্রিয়া হতে পারে।
কলা : গরম তাপমাত্রায় ফল হওয়ায় গরমেই এটি ভাল থাকে। ফ্রিজে কলা রাখলে কলার কোষের গঠনও নষ্ট হয়ে তা বিষাক্ত হতে পারে।
নাশপাতি : ফ্রিজে রাখলে নাশপাতি নরম হয়ে যায়। পচন ধরেও তাড়াতাড়ি। পুষ্টিগুণ কমে যাওয়ার সঙ্গে এই ধরনের নাশপাতিতে বিষক্রিয়াও হতে পারে।