চট্টগ্রাম ১৫ সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য, আন্তর্জাতিক ইসলামিক স্কলার প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী বলেন, আশেকে রাসুল হযরত শাহ মাওলানা হাফেজ আহমদ (র.) প্রকাশ শাহ্ সাহেব চুনতি কর্তৃক প্রবর্তিত ১৯ দিনব্যাপী সীরাতুন্নবী (স.) মাহফিল এতদঞ্চলে নবীপ্রেমিক মুসলমানদের মিলনস্থল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই মাহফিলের সুনাম ও সুখ্যাতি দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ছড়িয়ে পড়েছে।
এম পি নদভী বলেন, বিজ্ঞ-প্রাজ্ঞ আলেম ও ইসলামী স্কলারদের বিষয়ভিত্তিক আলোচনার সূত্রপাত মূলত: এই মাহফিল থেকেই শুরু। নিজের মরহুম পিতা আল্লামা ফজলুল্লাহ (রাহ.)কে এই মাহফিলের বিষয়ভিত্তিক প্রোগ্রামের রূপকার আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, যুগ ও সময়ের চাহিদা বিবেচনায় এনে বিশেষায়িত আলেমদের দিয়ে তিনি আমৃত্যু স্বয়ং উপস্থিত থেকে মাহফিল পরিচালনা করতেন। ড. আবু রেজা নদভী এমপি বলেন, মিলাদ ও সীরাত দুটি আরবি শব্দ। মিলাদ অর্থ জন্ম আর সিরাত শব্দের অর্থ জীবনচরিত। সীরাতুন্নবী (সা.) শিরোনামে যে মাহফিল হয় সেখানে রাসূলে পাক (সা.) এর জন্ম বৃত্তান্তকে বাদ দিয়ে জীবনচরিত আলোচিত হয় না বরং জন্ম থেকে শুরু করে পুরো জীবনীই আলোচনা করা হয়, যার গুরুত্ব ও শিক্ষা প্রতি মুসলামানের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ড. আবু রেজা নদভী আরো বলেন, ইসলাম শান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যরে ধর্ম। জোর জবর দস্তী, নৃশংসতা ও নিরপরাধ মানুষ হত্যা শান্তির ধর্ম ইসলাম কখনো স্বীকৃতি দেয়না। শান্তিপূর্ণ পথ থাকলে কোনো অশান্তির পথে যেতে ইসলাম অনুমোদন করেনি। তিনি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা হিসাবে স্বীকৃত ইসলাম ধর্মকে নবী করিম (স.) অনুসৃত পন্থায় উপস্থাপনের জন্য আহ্বান জানান।
তিনি ৩ নভেম্বর ২০২১ ইং বুধবার বাদ মাগরিব লোহাগাড়া উপজেলার চুনতির ঐতিহাসিক ১৯ দিনব্যাপী ৫১ তম সীরাতুন্নবী (স.) মাহফিলের ১৭ তম দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
প্রধান বক্তা ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাচ্ছির আল্লামা হাফিজুর রহমান ছিদ্দিক কুয়াকাটা। প্রধান বক্তার বক্তব্যে আল্লামা হাফিজুর রহমান ছিদ্দিক কুয়াকাটা তাঁর নির্ধারিত বিষয়বস্তু “কবর জীবন ও আজাবে কবর”, এর উপর কোরআন- হাদিসের বিভিন্ন উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, কবরের জীবন মূলত বরজখি জীবন। আর বরজখ হচ্ছে দুই জীবন—অর্থাৎ দুনিয়া ও আখেরাতের মাঝে ব্যবধান সৃষ্টিকারী। বরজখ হচ্ছে মৃত্যু থেকে পুনরুত্থান পর্যন্ত সময়। চাই মৃতদেহ দাফন করা হোক, জ্বালানো হোক, পানিতে ডুবে যাক, কোনো প্রাণী মৃতদেহ খেয়ে ফেলুক অথবা অন্য কিছু হোক—এর সবই কবরের জীবনের অংশ। তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি যখন মারা যায়, তখন সে বরজখে প্রবেশ করে এবং পুনরুত্থান পর্যন্ত সেখানে থাকবে। তাই কোরআন ও হাদিসের আলোকে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছা খুবই সহজ যে পাপীদের জন্য কবর তথা বরজখি জীবন থেকে আজাব শুরু হয়ে যায়, যেভাবে নেককারদের জন্য কবর তথা বরজখি জীবন থেকে আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত প্রদান করা হয়।
মাহফিলে চুনতি হাকিমিয়া কামিল মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির সভাপতি মিয়া মুহাম্মদ ইসমাঈল মানিকসহ বিশিষ্ট ওলামা- মাশায়েখ, স্থানীয় প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা ও বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি।
………. প্রেস রিলিজ।