বহুল প্রত্যাশিত ও প্রস্তাবিত চীন- বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালটি সাতকানিয়ায় প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হচ্ছে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন থেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি বেশ আলোচিত হচ্ছে। এ বিষয়ে সাতকানিয়া তথা দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসীকে সোচ্চার হওয়ারও আহবান জানানো হয়। তারা বলেন, চীনের প্রস্তাবিত ৩ টি হাসপাতালের মধ্যে ১টি হাসপাতাল সাতকানিয়া তথা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলায় স্থাপিত হলে চট্টগ্রাম কক্সবাজার বান্দরবান সহ বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কল্যাণ হবে।
এদিকে দক্ষিণ চট্টগ্রামে কোরিয়ান ইপিজেড ঘেঁষে দেয়াং পাহাড়ে সমতলে মনিরুজ্জামান ইসলামবাদীর ১০০ একর জায়গার উপর প্রস্তাবিত হাসপাতাল ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার দাবি জানান অনেকে। তবে সেটি আনোয়ারা পারকি সমুদ্র সৈকতের কাছাকাছি করারও দাবি জানান আরেকটি গ্রুপ। তাদের যুক্তি হলো এতে কর্ণফুলী টানেলের মাধ্যমে চট্টগ্রাম শহরের পতেঙ্গা থেকে সহজেই হাসপাতালে আসা যাওয়া করা যাবে। তাছাড়া চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থাকায় ঢাকা ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের মাধ্যমে আসা যাওয়া সহজ হবে। এতে মেডিক্যাল ট্যুুরিজমের বিকাশ হবে বলে তারা অভিমত দেন।
আবার অনেকে হাসপাতালটি উত্তর চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে স্পেশাল ইকোনমিক জোনে করারও মতামত দেন। তাদের মতে, এতে উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রাম এবং রাজধানী ঢাকা থেকে সহজেই আসা যাওয়া করা যাবে।
সব কিছু মিলিয়ে প্রস্তাবিত চীন- বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালটির প্রতিষ্ঠা নিয়ে মতামত ও সুপারিশ বেশ জমে উঠছে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।
