চীনা সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার দেশের সেনাবাহিনীকে যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সক্ষমতা বৃদ্ধি ও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে যা যা দরকার তা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন বলে চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ চীন সাগরে আঞ্চলিক বিরোধ সত্ত্বেও চীন সেনা উপস্থিতি জোরদার করতে ইচ্ছুক। এ ছাড়া তাইওয়ান ও বাণিজ্যের মতো বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের মতবিরোধ বাড়ছে।
বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার খবরে জানানো হয়, শীর্ষ সেনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট বলেছেন, চীনের জন্য ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ বাড়ছে। তাই সশস্ত্র বাহিনীকে চীনের নিরাপত্তা ও উন্নয়নের প্রয়োজনে কাজ করে যেতে হবে। সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সি জিনপিং। তিনি বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীকে নতুন যুগের জন্য কৌশল পরিকল্পনা করতে হবে এবং যুদ্ধের প্রস্তুতি ও যুদ্ধ চালানোর জন্য দায়িত্ব নিতে হবে। চীনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, গত ১০০ বছরে বিশ্ব যে পরিবর্তন দেখেনি, সে ধরনের বড় পরিবর্তনের মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বিশ্ব। চীন তার উন্নতির জন্য কৌশলগত সুযোগের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে রয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীকে দ্রুত সাড়া দিতে হবে। তাদের যৌথ অপারেশন সক্ষমতা হালনাগাদ করতে হবে এবং নতুন ধরনের যুদ্ধসেনা প্রতিপালন করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘এশিয়া রিঅ্যাসুরেন্স ইনিশিয়েটিভ অ্যাক্ট ইন্টু ল’তে স্বাক্ষর করে তাইওয়ানের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করার পর চীনা প্রেসিডেন্ট এ কথা বললেন।
এদিকে স্বশাসিত তাইওয়ানের গণতন্ত্র সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সমর্থন চেয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট তিসাই ইং ওয়েন। শনিবার রাজধানী তাইপেতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ সমর্থন দাবি করেন।