চার মাসের জামিন পেলেন খালেদা জিয়া

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চার মাসের জামিন পেয়েছেন।

সোমবার দুপুরে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গতকাল রোববার বিশেষ আদালতের রায়ের নথি হাইকোর্টে না পৌঁছায় আদেশের জন্য আজকের দিন (সোমবার) ঠিক করেন আদালত। পরে বিশেষ ব্যবস্থায় দুপুরের পর নিম্ন আদালত থেকে রায়ের নথি হাইকোর্টে এসে পৌঁছে।

এর আগে ১৫ দিনের মধ্যে নথি পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালতের নজরে আনেন ৮ মার্চ বৃহস্পতিবার। পরে আদালত জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য রোববার দিন ঠিক করেন। এরপরও নির্ধারিত সময়ে নথি না আসায় আদালত আদেশের জন্য আজকের দিন (সোমবার) ঠিক করেন।

গেলো ২২ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন। পাশাপাশি স্থগিত করেন তার অর্থদণ্ড। এর ধারাবাহিকতায় আজ এ আদেশ দেন হাইকোর্ট।

গেলো ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন। এরপর থেকে খালেদা জিয়া নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। এছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৫ জনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক হারুন-আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে

অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়। পরে বিচারক পরিবর্তন হয়। শুনানি শেষে পরিবর্তিত নতুন বিচারক ড. আখতারুজ্জামান ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায় দেন।