চাঁদের দেশে ফোরজি!

ছুটিতে ঘুরতে গেলেন চাঁদে। গিয়ে মুঠোফোনে কথা বলতে পারবেন প্রিয়জনের সঙ্গে, নিজের বাবা-মায়ের সঙ্গে ভিডিও কলের মাধ্যমে চাঁদের দেশটি দেখিয়েও দিতে পারবেন। এরকম কল্পনাকে বাস্তবে পরিণত করার লক্ষে কাজ শুরু হচ্ছে খুব শীগগিরই। ভোডাফোন জার্মানি নকিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে চাঁদে ফোরজি নেটওয়ার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে আগামী বছর থেকেই। সহযোগী হিসেবে কাজ করবে বিখ্যাত অটোমোবাইল কোম্পানি অডি। খবর স্পেস ডট কমের।

পিটিসায়েন্টিস্ট নামে পরিচিতি বার্লিনভিত্তিক পার্টটাইম সায়েন্টিস্ট এ প্রকল্পটি পরিচালনা করবে বলে জানা গেছে। বিজ্ঞানীদের এই দলটি নাসার এপোলো ১১ এর চাঁদের পা রাখার ৫০ তম বার্ষিকী উপলক্ষে এ উদ্যোগটি গ্রহণ করবে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, ২০১৯ সালে স্পেস এক্সের ‘ফ্যালকন নাইন’ রকেটের মাধ্যমে চাঁদে মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থাপনের মিশনটি বাস্তবায়ন করা হবে। ফ্লোরিডার কেপ কানাভেরাল থেকে একটি ল্যান্ডার ও দুইটি ছোট রোভার পাঠিয়ে নেটওয়ার্কের সরঞ্জাম পাঠানো হবে।

ভোডাফোনের প্রতিনিধিরা এক বিবৃতিতে জানায়, ভোডাফোন নকিয়াকে একটি মহাকাশ উপযোগী ফোরজি আলট্রা কমপ্যাক্ট নেটওয়ার্ক বানানোর জন্য বলে দিয়েছে। বহনযোগ্য এই নেটওয়ার্কটির ওজন হবে মাত্র এক কিলোগ্রাম।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, পিটিসায়েন্টিস্ট ল্যান্ডারটি ব্যবহার করে ফোরজি নেটওয়ার্কের বীমের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো চাঁদ থেকে হাই ডেফিনিশনের লাইভ ভিডিও ফিড দেখাতে সক্ষম হবেন। নেটওয়ার্কের এই সিগন্যালটি ১৮০০ মেগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করবে যার মাধ্যমে পিটিসায়েন্টিস্ট সার্ভারের মাধ্যমে বার্লিনের মিশন কন্ট্রোল থেকে সারা পৃথিবীতে ভিডিওটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

পিটিসায়েন্টিস্টের প্রধান নির্বাহী রবার্ট বোহম এক বিবৃতিতে বলেন, চাঁদে এই অভিযানের মাধ্যমে আমরা প্রথমবারের মতো ডেডিক্যাটেড কমিউনিক্যাশন নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা ও পরীক্ষা করতে সক্ষম হব। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল এই এলটিই সলিউশনের মাধ্যমে অনেক শক্তি সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। ডাটা পাঠাতে যতই কম শক্তি খরচ হবে ততই আমরা বিজ্ঞানের জগতে এগিয়ে যাবো।