চশমা খাল পরিষ্কারের মাধ্যমে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু

নানা বাধা কাটিয়ে অবশেষে চট্টগ্রাম নগরীর দুঃখ খ্যাত জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ)। শুরুতে নগরীর তিনটি স্পটে ড্রেন পরিষ্কার কাজ করা হচ্ছে।

শনিবা্র সকাল ১০টার দিকে নগরীর দুই নম্বর গেইট এলাকার ড্রেন পরিষ্কার কাজের মধ্য দিয়ে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর। এ সময উপস্থিত ছিলেন সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের কর্মকর্তাবৃন্দ

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সুত্রে জানা যায়, প্রথম দফায় চট্টগ্রাম নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের ড্রেন পরিষ্কার করা হবে। আজ নগরীর দুই নম্বর গেইট থেকে মুরাদপুর, বহদ্দারহাট থেকে বাসটার্মিনাল ও ষোলশহরের আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা এলাকার রেলবিট সংলগ্ন ড্রেন পরিষ্কারের কাজ চলছে। সিডিএর পক্ষ থেকে যেইসব এলাকায় জলাবদ্ধতা তুলনামূলকভাবে বেশি হয়, সেইসব এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে আগ্রাবাদের সিডিএ আবাসিক এলাকা, হালিশহর, চাকতাই, বকশিরহাট, দেওয়ানবাজার, খাতুনগঞ্জ, বৃহত্তর বাকলিয়া, চকবাজার ও চান্দগাঁওয়ের কিছু অংশ।

সূত্র আরো জানায়, ড্রেনের পাশাপাশি প্রকল্পের আওতায় প্রথম দিকে ১৬টি খালের খননকাজ করা হবে। সেগুলো হলো চাক্তাই খাল, বির্জা খাল, রাজাখালী খাল–১, মির্জা খাল, রাজাখালী খাল–২, রাজাখালী খাল–৩, মরিয়মবিবি খাল, হিজরা খাল, মহেশখাল, কলাবাগিচা খাল, ডোমখাল, বামুনশাহী খাল (কোদালাকাটা খাল, কাটা খাল, সানাইয়া খাল, মধুছড়া খালও বামুনশাহী খালের অন্তর্ভুক্ত), চাক্তাই ডাইভারসন খাল (বাকলিয়া খাল নামেও পরিচিত), নোয়া খাল, খন্দকিয়া খাল ও নাছির খাল।

চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের জন্য চলতি অর্থবছরে (২০১৭–২০১৮) ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের মাধ্যমে প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখে।