চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার র্যালি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সম্মেলন কক্ষে কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সাংবাদিক সমিতির পৃষ্ঠপোষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। উপাচার্য তার উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানান। তিনি সমিতির সদস্যদের সৎ ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে শীর্ষে পৌঁছানোর আহ্বান জানান।
এ সময় সমিতির সভাপতি সৈয়দ বাইজিদ ইমনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ফয়সালের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার, রেজিস্টার কে এম নুর আহমদ, আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবু নোমান, সমিতির উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী, সমিতির উপদেষ্টা ও যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সহ সমিতির সাবেক ও বর্তমান সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে তরুণ প্রজন্ম ও নিউমিডিয়া’ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক সহিদ উল্যাহ লিপন। এরপর সাবেক বর্তমান মিলে মোটরবাইক শোভাযাত্রা, বিকেলে সাবেক-বর্তমান সদস্যদের অংশগ্রহণে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে চবিসাসের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে আলোচনায় মগ্ন হন সাবেক শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যায় ফানুস উড়ানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুর রব হলে পিঠা উৎসব এবং বারবি কিউর আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে চবিসাস এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ডকে তুলে ধরে বিশ্বের বুকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিচিত করে আসছে। গঠনমূলক কার্যক্রমে মানুষের যোগ্যতা বৃদ্ধি পায়। আর দীর্ঘ দিন ধরে এ কাজটিই করে আসছে চবিসাসের সদস্যরা। চবিসাসের সভাপতি সৈয়দ বাইজিদ ইমন বলেন, বরাবরের মতোই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি জমকালোভাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করতে সহায়তা করাই সবাইকে ধন্যবাদ। সমিতির প্রাক্তন সদস্যরা দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। অনুষ্ঠানে সমিতির প্রাক্তন সদস্যরা অংশ নেয়। আজকের দিনটি গণমাধ্যমকর্মীদের মিলনমেলায় রূপান্তরিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে চবিসাসের সাবেক নেতৃবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট, সাংস্কৃতিক জোট, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।