উপজেলার ধোপাছড়ি চিড়িংঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪জন শিক্ষক থেকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার আশে অমান্য করে ১ জন সহকারী শিক্ষককে অন্যত্র বদলি করার অভিয়োগ করেছেন বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি কুতুব উদ্দিন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটিও খালি রয়েছে। গত ২ অক্টোবর উপজেলার ধোপাছড়ি চিড়িংঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সৈকতে ঝিনুককে দক্ষিণ হাশিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ উপেক্ষা করে বদলি করায় এলাকায় ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি কুতুব উদ্দিন বলেছেন, ৫ জন শিক্ষকের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ৪ জন। গত বছর সহকারী শিক্ষক সৈকতে ঝিনুকের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রতিস্থাপন সাপেক্ষে বদলির আদেশ দেন। কিন্ত প্রতিস্থাপান না করে গত ২ অক্টোবর উক্ত শিক্ষক বিদ্যালয় থেকে বিদায় নিয়ে একই দিন দক্ষিণ হাশিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। তিনি বলেন ১৮ নভেম্বর থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরিক্ষা অন্যান্য শ্রেণির বার্ষিক অনুষ্ঠিত হবে।এ সময়ে শিক্ষক স্বল্পতা থাকা সত্বেও আরো ১ জন শিক্ষক অন্যত্র বদলি করায় অভিভাবকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করলেও তিনি বিভিন্ন অজুহাতে বিষয়টি এড়িয়ে যান। এব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (চ.দা)নুরুল ইসলাম বদলির বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের সুপারিশে বদলি করা হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার আদেশের বিষয়ে তিনি কোন রকম উত্তর দিতে পারেননি।