রোববার চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রী বিএনএ ফ্লোটিলায় রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে মাহতাব উদ্দিনের ভাই হেলাল উদ্দিন চৌধুরী তুফানকে বিষয়টি অবহিত করেন।
এ ব্যাপারে জহুর আহমদ চৌধুরীর ছেলে হেলাল উদ্দিন চৌধুরী তুফান বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুপুর ১২টার দিকে নৌবাহিনীর প্যারেড শেষ করে হেঁটে যাওয়ার সময় আমি সালাম দিয়েছিলাম। এ সময় আমাকে ডেকে বললেন, ‘মাহতাবকে (মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী) দায়িত্ব দিলাম। আমি তোমাদের পরিবারকে সম্মান দিয়েছি।’
জানা গেছে, গত ২৩ ডিসেম্বর দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম প্রেসিডিয়ামের সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় দলের এক নম্বর সহসভাপতি হিসেবে মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভায় উপস্থিত দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
মোশাররফ হোসেন জানান, মাহতার উদ্দিন চৌধুরীকে না দিয়ে অন্য কাউকে দায়িত্ব দিলে সাংগঠনিক জটিলতা বাড়তে পারে– এই কারণে এক নম্বর সহসভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
পরবর্তী কমিটি না হওয়া পর্যন্ত মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীই ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি পদটি শূন্য হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ওই সময় ফের মহিউদ্দিন চৌধুরীকে সভাপতি করা হয়। এছাড়া আ জ ম নাছির উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক এবং মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীকে এক নম্বর সহসভাপতি করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়।