সাতকানিয়া সংবাদদাতা : আওয়ামী লীগ সরকার দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে আধুনিক যুগের প্রয়োজন বিবেচনায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থায় গুরুত্ব দিচ্ছে। দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি করতে পারলে তারা আমাদের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখতে পারবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা বা কারিগরি শিক্ষা এখন গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এ শিক্ষা কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে। এটা শুধু দেশে না বিদেশেও। নিজ স্কুলের সংবর্ধিত সভায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের এসব কথা বলেন।
শনিবার (১৩ জুলাই) সাতকানিয়া উপজেলার এ কে বি সি ঘোষ ইনস্টিটিউট প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিষদের উদ্যোগে স্কুল মিলনায়তনে প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে চবি উপাচার্য নিযুক্ত হওয়ায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে এ কে বি সি ঘোষ ইনস্টিটিউট প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. আবদুল কাদেরের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সদস্য সচিব প্রসুন কুমার দাশের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিষদের সদস্য সচিব এ এফ এম আখতারুজ্জামান কায়সার, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল মনসুর, অধ্যক্ষ আবু তৈয়ব, ইনস্টিটিউট পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মিজানুর রহমান মারুফ, প্রধান শিক্ষক মাহাফুজুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আবুল বশর, ডা. ইমরান উশ শহীদ,দোলন বিশ্বাস, কাজী আাসাদুজ্জামান, বিজয় নন্দী সাগর, এনামুল হক মিঠু ও আরমান হোসেন।
প্রফসর ড.মো.আবু তাহেরের জীবনী আলোকপাত করেন নাসির উদ্দীন সিদ্দীকী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাঞ্চনা ইউপি চেয়ারম্যান রমজান আলী, সামাজিক,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রাক্তন শিক্ষার্থী বর্তমান শিক্ষার্থীবৃন্দ
অনুষ্ঠান শুরুর আগে ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ বুদ্ধিজীবী রায় সাহেব কামিনী কুমার ঘোষের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের বলেন, ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ অর্জন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পর তাঁর পরবর্তী লক্ষ্য হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তির সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। এরই ধারাবাহিকতায় শুরু হয়েছে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রা। স্মার্ট বাংলাদেশ হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের সোপান। স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ। আগামী ২০৪১ সাল নাগাদ আমাদের দেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।