চট্টগ্রাম বন্দর: আমদানি বেড়েছে কমেছে রপ্তানি

গত বছরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি বেড়েছে প্রধান প্রধান পণ্যের। আর কমেছে রপ্তানি।
বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে পাওয়া পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত বছরে খাদ্যশস্য আমদানি প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার টন কমে গেছে আগের বছরের তুলনায়। আমদানি হয়েছে ৫৭ লাখ ৭৬ হাজার টন। আগের বছরে তা ছিল প্রায় ৬০ লাখ টন। সিমেন্ট কারখানার কাঁচামাল আমদানি হয়েছে ২ কোটি ৪০ লাখ টন। ২০১৭ সালে আমদানি হয়েছিল ১ কোটি ৯৫ লাখ টন। পদ্মা সেতু, ফ্লাইওভার, সড়ক ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের যে বিপুল কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে দেশজুড়ে, তাতে বেড়ে গেছে সিমেন্টের চাহিদা। এ কারণে প্রধান কাঁচামাল ক্লিংকার আমদানি এক বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৪৫ লাখ টন। ২০১৭ সালে তা বেড়েছিল ৪ লাখ টনের মত। ২০১৬ সালে বেড়েছিল ৪৬ লাখ টন। গত বছরে একইভাবে বেড়েছে ইট পোড়ানোর জন্য কয়লা আমদানি। ২০১৭ সালে যেখানে আমদানি হয়েছিল ১৫ লাখ টন, সেখানে গত বছরে আমদানি হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টন। হ্রাস পেয়েছে লবণ আমদানি। ৩ লাখ ৯২ হাজার টন আমদানি হয়েছে গত বছরে, আর ২০১৭ সালে হয়েছিল ৭ লাখ ৫৯ হাজার টন।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি এবং জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বেড়ে যাচ্ছে ভোগও। ২০১৭ সালে অশোধিত ভোজ্য তেল আমদানি হয়েছিল ২২ লাখ ৭৪ হাজার টন। সেটা বেড়ে গত বছরে হয়েছে ২৮ লাখ ২৮ লাখ ৩৫ হাজার টন। র-সুগার আমদানি হয়েছে ২১ লাখ টন। তবে, ২০১৭ সালে আমদানি হয়েছিল ২৪ লাখ ৮৫ হাজার টন। বেড়েছে জ্বালানি তেল আমদানি। গত বছরে তা ছাড়িয়ে গেছে ৮০ লাখ টন। আগের বছরে ছিল ৭০ লাখ টন। রাসায়নিক সার আমদানি হয়েছে ১৮ লাখ টন। ২০১৭ সালে ১৬ লাখ টন।
গত বছরে পাট, পাটজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য এবং ন্যাপথা রপ্তানি কমেছে। তৈরি পোশাক বাড়তি। পাট রপ্তানির পরিমাণ গত বছরে ছিল ১ লাখ ৫৯ লাখ টন এবং আগের বছরে ছিল ২ লাখ ২৮ হাজার টন। পাটজাত পণ্য গত বছরে ৬ লাখ ৪২ হাজার টন এবং ২০১৭ সালে ৮ লাখ টন রপ্তানি হয়েছিল। চামড়া রপ্তানি প্রায় একই পর্যায়ে রয়ে গেছে। গত বছরে রপ্তানি হয়েছে ৩২ হাজার টন। ২০১৭ সালেও ছিল প্রায় একই। তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৩৫ লাখ ৯২ হাজার টন গত বছরে। আগের বছরে ছিল ৩২ লাখ টন। হিমায়িত খাদ্য গত বছরে রপ্তানি হয়েছে ১ লাখ টন। ২০১৭ সালে ছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার টন।