নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন ও মশা নিয়ন্ত্রণে ২৫ দিনের বিশেষ ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ উদ্বোধন করেছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) সকালে নগরীর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের ১২২ আন্দরকিল্লায় নালা থেকে মাটি ও আবর্জনা উত্তোলন এবং মশার ডিম ধ্বংসকারী ‘লার্ভিসাইড’ স্প্রে করে বিশেষ এ অভিযানের উদ্বোধন করেন মেয়র।
নাগরিক দুর্ভোগ লাঘবের লক্ষ্যে নগরীর ৪১ ওয়ার্ডের সব নালা-নর্দমা থেকে মাটি ও আবর্জনা উত্তোলন, মশার ডিম ধ্বংসকারী লার্ভিসাইড ছিটানো হবে। ১০-১২ এপ্রিল পর্যন্ত ৩ দিন ২০, ২১, ৩২, ৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে, ১৩-১৬ এপ্রিল ৭, ৮, ১৫, ২৪ ও ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে, ১৭-১৯ এপ্রিল ১৭, ১৯, ৩৬, ৩৭ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে, ২০-২৩ এপ্রিল ৪, ১৪, ১৬, ২৬ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে, ২৪-২৬ এপ্রিল ১০, ১১, ১৩, ২২ ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে, ২৭-২৯ এপ্রিল ৯, ২৩, ২৫, ২৭ ও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে, ৩০ এপ্রিল থেকে ২ মে ৩, ৫, ৬, ১২ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে এবং ৩-৫ মে ১, ২, ১৮, ২৮, ২৯ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালিত হবে।
এ উপলক্ষে আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহরলাল হাজারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, আগামী ৫ মে পর্যন্ত বিশেষ ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে চলবে। ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ শেষে মেয়র, কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পরিচ্ছন্ন সেবক সবাই মিলে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে একসঙ্গে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিচ্ছন্ন অভিযান পরিচালনা করবেন। এ ধরনের অভিযান এক মাস পর পর পরিচালিত হবে। যেকোনো ঝুঁকি নিয়ে নান্দনিক ও পরিবেশবান্ধব নগর গড়ার প্রত্যয় বাস্তবায়ন করা হবে। ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’র জন্য অতিরিক্ত জনবল সংগ্রহ করা হয়নি। বিদ্যমান জনবল, ইক্যুইপমেন্ট ও ওষুধপত্র নিয়ে এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। প্রতি ওয়ার্ডে ৫০০ পরিচ্ছন্ন কর্মী নালা পরিষ্কার এবং লার্ভিসাইড ছিটানোর কাজে নিয়োজিত থাকবে। প্রতিদিন ৫টি ওয়ার্ডে এ অভিযান চলবে।
মেয়র চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নালা-নর্দমা থেকে আবর্জনা ও মাটি উত্তোলন কাজ এবং মশা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।