৮ ফেব্রুয়ারী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে চট্টগ্রাম জুড়ে। নগরীতে চলাচলে কড়াকড়ি করা হচ্ছে। আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছে নিরাপত্তা বলয়ে।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নগরীতে চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করেছে নগর পুলিশ। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগর পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আদেশ জারির কথা জানানো হয়।
আদেশে চট্টগ্রাম মহানগরীতে যে কোন অবাঞ্চিত ব্যক্তির প্রবেশ, অস্ত্র, গোলাবারুদ, বিস্ফোরক দ্রব্য, তলোয়ার, বর্শা, বন্দুক, ছোরা বা লাঠি বহন, ইট পাথর বা নিক্ষেপযোগ্য কোন কিছু বহন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন নগর পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার।
আদেশে নগর পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উশৃঙ্খল নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা ধ্বংসাত্মক ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানোর আশংকা রয়েছে।
তাই জনস্বার্থে ১৯৭৮ সালের চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন অধ্যাদেশ এর ২৯ ও ৩০ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা বলে এ আদেশ জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আদেশ বলবৎ থাকবে।
আপরদিকে, মঙ্গলবার থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলছে যানবাহন তল্লাশী। এছাড়া রাষ্ট্রায়াত্ত তিনটি তেল স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ন এসব স্থাপনা রক্ষায় নগরীর পতেঙ্গা থানার সিমেন্ট ক্রসিং থেকে বিমানবন্দর সড়ক দুদিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ।
বিশেষ এ অভিযানে যানবাহন থেকে কোন অস্ত্র বা বিস্ফোরক উদ্ধার করতে না পারলেও গতকাল থেকে নগরী ও জেলায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ শতাধিক বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীকে আটক করেছে।