চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা বাঘ-বাঘিনীর খাঁচায় তিনটি বাচ্চা শাবকের জন্ম হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনটি বাচ্চা প্রসব করে বাঘিনী। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর ও চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন শুভ জানান, ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম ডিড়িয়াখানায় ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হয়েছিল রাজ ও পরী নামে দই বাঘ-বাঘিনীকে। যাদের বৈজ্ঞানিক নাম প্যানথার টাইগ্রিস টাইগ্রিস। বর্তমানে বাঘটির বয়স ৩০ মাস ও বাঘিনীটির বয়স ২৮ মাস। ওই বাঘিনীটি তিনটি বাচ্চা জন্ম দেয়। মায়ের কাছে থাকায় এখনও তাদের লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়নি। প্রায় চার বছর বাঘহীন থাকার পর ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় এ দুটি বাঘ আনা হয়েছিল।
এদিকে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘ-বাঘিনীর খাঁচায় জন্ম নেওয়া তিন শাবককে দেখতে আসেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক। প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে করে মেয়ে নওরিন সাদেক ও নাতনি নাভিন ইত্তেমা নিয়ে আনে চিড়িয়াখানায়। প্রায় ঘণ্টাখানেক অবস্থান করে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা বাঘ-বাঘিনী, জেব্রাসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখি সমৃদ্ধ পুরো চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মো. মমিনুর রশিদ, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম, শারমিন আখতার, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ভেটেরিনারি সার্জন ডা.মো. শাহাদাত হোসেন শুভ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বর্তমানে অর্ধশতাধিক প্রজাতির দেশি-বিদেশি পশুপাখি রয়েছে।