আগামী শনিবার চট্টগ্রাম জেলা ও নগরীতে ১২ লাখ ৮২ হাজার শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সিভিল সার্জন কার্যালয় ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পৃথক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, শনিবার জেলার ১৪টি উপজেলার ২০০টি ইউনিয়নের পাঁচ হাজার ৪৯টি কেন্দ্রে ৭ লাখ ৫২ হাজার ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ছয় মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ৮৩ হাজার ৭৮২ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ছয় লাখ ৬৮ হাজার ৯২২ জনকে টিকা খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন এর দ্বিতীয় রাউন্ডে চট্টগ্রাম জেলায় ছয় মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ৮২ হাজার ৭৩৩ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ছয় লাখ ৬৪ হাজার ৯৬ জনকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে নগরীর সদরঘাট রোডে মেনন হাসপাতালে পৃথক এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। শনিবার সকালে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বলেন, নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের এক হাজার ২৮৮টি কেন্দ্রে শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে সাড়ে ৫ লাখ ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী ৮০ হাজার শিশুকে একটি করে নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী চার লাখ ৫০ হাজার শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ক্যাম্পেইন এ ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী ৭৭ হাজার ২৮০ শিশুকে এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী চার লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৬ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।
সিটি করপোরেশনের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক বলেন, এ টিকা খেলে ভিটামিন এ এর অভাবজনিত অন্ধত প্রতিরোধ করা সম্ভব। জনগণ আরও সচেতন হলে শতভাগ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী এবং মেনন হাসপাতালেল ইনচার্জ ডা. আশীষ মুখার্জি ও ডা. ইমাম হোসেন রানা ।