চট্টগ্রামে রোহিঙ্গাদের জন্য সোয়া ১২ টন ত্রাণ আনল মালয়েশিয়া

সহিংসতার শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। ১২ দশমিক ২৩ মেট্রিক টন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে মালয়েশিয়ার একটি কার্গো বিমান চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবার এসে পৌঁছায়।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে এসব ত্রাণসামগ্রী চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মান্নানের কাছে হস্তান্তর করেন মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হাজী মোহাম্মদ সাবু।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত নূর আশিকিন মোহাম্মদ তৈয়ব, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সিভিল এভিয়েশন বিভাগের ব্যবস্থাপক স্কোয়াড্রন লিডার এবিএম সরওয়ার-ই-জামানসহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. হাবিবুর রহমানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

হাজী মোহাম্মদ সাবু বলেন, আমি আজ সারাদিন রোহিঙ্গাদের দেখেছি। তাদের কষ্ট দেখেছি। বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমার থেকে বিতারিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবতার নজির স্থাপন করেছেন। তাই তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। একই সঙ্গে মালয়েশিয়াকে বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধু উল্লেখ করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হাজী মোহাম্মদ সাবু ভবিষ্যতে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দেন।

বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান বলেন, মালয়েশিয়া গত ১০ মাসে প্রায় ৩০০ টন ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছেন রোহিঙ্গাদের জন্য। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর প্রথম মালয়েশিয়া সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। এসময় বিভাগীয় কমিশনার মালয়েশিয়া সরকারকে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোয় ধন্যবাদ জানান।

মালয়েশিয়ার পাঠানো ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে আছে বিস্কুট, কম্বল, পানির ফিল্টার, বাটিক ফেব্রিক, টি-শার্ট, রুটি, এক্সরে মেশিন ও ওয়াটার ট্রিটমেন্ট সিস্টেমসহ বিভিন্ন সামগ্রী। এর আগে গত ১০ মাসে প্রায় ৩০০ টন ত্রাণসামগ্রী রোহিঙ্গাদের জন্য পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া।

মিয়ানমারে সহিংসতার শিকার হয়ে গত বছরের আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।