চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) গোয়েন্দা কার্যালয়ে (ডিবি) ওয়াইফাই রাউটারের সকেটে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সোমবার সকাল ১০ টা ৫৫ মিনিট কোতোয়ালী থানার লালদিঘীর মাঠ সংলগ্ন অফিসটিতে এই অগ্নকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্তে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।
সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম বলেন, সিএমপির ডিবি কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলার একটি রুমে লাগানো ওয়াইফাই রাউটারের চকেটে অতিরিক্ত হিটের কারণে আগুন লেগেছে। তারে আগুন লাগার কারণে ধোঁয়া বেশি হয়েছে। জিনিসপত্রের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। আগুনে কিছু কাগজ ও জ্যাকেট নষ্ট হয়েছে। এর আগে সোমবার সকালে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিটের ১৩ গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবুও ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগমকে প্রধান করে ৪ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিনও আগুন লাগার কারণ হিসেবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটকে দেখছেন। তিনি বলেন, ওয়াইফাই রাউটারের চকেটে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। সিএমপি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে ক্ষয়ক্ষতি জানা যাবে।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (বন্দর) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, আগুন থেকে অস্ত্রাগার এবং হাজতখানা সুরক্ষিত আছে। আগুনে খুব বেশি কোনো ক্ষতি হয়নি।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের এডিসি উত্তর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, সকালে তারা নিজ নিজ অফিসে বসে ছিলেন। হঠাৎ ডিবি অফিসের তিনতলা ভবনের দুই তলায় বোম ডিসপোজাল ইউনিটের কক্ষের পাশের কক্ষের সামনে রাখা সার্ভার বক্স বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় এবং সেখান থেকেই আগুন ধরে যায়। এতে আতঙ্কিত হয়ে পুলিশ সদস্যরা বেরিয়ে দেখতে পান দুই তলা থেকে ধোঁয়া উঠছে। দ্রুত তারা নিচে নেমে আসেন। এসময় ওই ভবনে থাকা হাজতখানা থেকেও বের করে আনা হয় আসামিদের। পরে আগুন নেভানোর পর প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে বোম ডিসপোজোল ইউনিটের কক্ষের কিছু পোশাক ও প্লাস্টিক জাতীয় পদার্থ ছিল যেগুলো পুড়ে গেছে।