২০১৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর যখন জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল। সেইদিন অন্য সহপাঠীদের ন্যায় তাদের মুখে হাসি ছিল না। কারণ প্রকাশিত ফলাফলে তাদের ফেল দেখানো হয়েছিল।
অবশেষে ৫১ শিক্ষার্থীর মুখে হাসি ফুটলো। অবসান হলো মানসিক যুদ্ধের। সোমবারচট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে প্রকাশিত জেএসসির পুনর্নিরীক্ষণ ফলাফলে ফেল থেকে পাশ করেছে তারা।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মাহবুব হাসান জানান, জেএসসির প্রকাশিত ফলাফলে যারা আশানুরূপ ফলাফল পায় নি বা অকৃতকার্য হয়েছে; তারাই শিক্ষাবোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী পুনর্নিরীক্ষণ আবেদন করেছিল। আবেদন অনুযায়ী উত্তরপত্র যাচাই-বাচাই করে পুনর্নিরীক্ষণের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার ১০ হাজার ৫৩১টি আবেদনের মধ্যে ৩০৯ জন শিক্ষার্থীর ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে। এরমধ্যে ফেল থেকে পাস করেছে ৫১ জন, পাস করা ২৫৬ জনের জিপিএ পরিবর্তন হয়েছে এবং নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৩ জন।
বোর্ড সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে প্রকাশিত জেএসসির ফলাফলে সন্তোষ হতে না পেরে ২০ হাজার ৫২১টি উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছিল ১০ হাজার ৫৩১ শিক্ষার্থী। আবেদনের প্রেক্ষিতে উত্তরপত্র যাচাই-বাছাই করে জেএসসির পুনর্নিরীক্ষণ ফলাফল প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ।
গতবছর জেএসসির পুনর্নিরীক্ষণে ২৭৫ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছিল।
জেএসসিতে এবছর চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ১৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৩১৫ জন। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১ হাজার ২১২টি স্কুলের ১ লাখ ৮৩ হাজার ৬০৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮১৪ জন।