কেরোসিন ঢেলে নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে মো. দৌলত (২৩)। শরীরে ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে তার। তবে শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়া তাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকেরা।
চমেক পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, নগরীর বায়েজিদ থানাধীন চা বোর্ড এলাকার দুবাইওয়ালার বিল্ডিংয়ে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দৌলত নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় তার স্ত্রী রূপালি আক্তার পাশে ছিলেন। রাত দুইটায় তাকে চমেক হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক বার্ন ইউনিটে (৩৬ নম্বর ওয়ার্ড) ভর্তি দেন।
তিনি জানান, দৌলতের গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়ির ভুজপুর এলাকার হেঁয়াকো বাজারে। তারা বায়েজিদে ভাড়া থাকতেন।
দৌলতের শ্বশুর, কুমিল্লার মো. দুলাল জানান, দুলাল পেশায় প্রাইভেট কার চালক। মাসখানেক আগে রূপালি আক্তারের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করে। তারপর তারা পালিয়ে বিয়ে করে অনেকটা আত্মগোপনে ছিল। রূপালি রশিদিয়া মাদ্রাসা থেকে পাস করে আশেকানে আউলিয়া ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হয়েছিল। সোমবার রাতে মেয়ে ফোন করে তাকে জানান, দৌলত নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। তারপর তিনি ছুটে যান এবং হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রূপালি জানিয়েছে কিছু দিন ধরে তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে দৌলত আত্মহত্যার চেষ্টা করে।