চট্টগ্রামে ইভিএম পদ্ধতিতে ‘মক ভোট’ গ্রহণ শুরু

আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনে ভোটারদের সচেতন করার লক্ষ্যে ইভিএমে ‘মক ভোটিং’ কার্যক্রম শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটারদের কাছে যাতে ইভিএম নিয়ে কোনো ধরনের সংশয় না থাকে, তারা যেন অভ্যস্ত হয়ে যান, সেজন্য প্রদর্শনী বা মক ভোটের আয়োজন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম-৯ আসনের সব ওয়ার্ডে এই প্রদর্শনী হবে। গতকাল ২২ নম্বর এনায়েত বাজার ওয়ার্ডের চারটি ভেন্যুতে ইভিএম প্রদর্শন ও সকাল ১০টা থেকে ‘মক ভোটিং’ শুরু হয়। ভেন্যু গুলো হলো- কাউন্সিলর কার্যালয়, রেলওয়ে হাসপাতাল কলোনি, এনায়েত বাজার মহিলা কলেজ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন অপর্ণা চরণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসার মো. মুনির হোসাইন খান জানান, চট্টগ্রাম-৯ কোতোয়ালী আসনের প্রতিটি ওয়ার্ডে আমরা পর্যায়ক্রমে ইভিএমের প্রদর্শনী করবো। প্রথমে ২২ নং এনায়েত বাজার ওয়ার্ড দিয়ে শুরু করেছি। এই ওয়ার্ডের ৪টি স্পটে ইভিএম রাখা হয়েছে। আজ রবিবারও থাকবে। প্রদর্শনীতে আমরা ভোটারদের দেখাবো কিভাবে ইভিএমে ভোট দিতে হয়।

চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯০ হাজার ৪৩১। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৪৪টি এবং ভোট কক্ষের সংখ্যা ৭২৫টি। তবে প্রতিটি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) সর্বোচ্চ ৪৫০ জন্য ভোটার রাখার ইসির নির্দেশনার পর এ আসনে ১৯৫টি

ইভিএম বাড়ানো হচ্ছে। আগে এই আসনে ৭২৫টি ইভিএম বসানোর পরিকল্পনা ছিল। এখন সর্বমোট ৯২০টি ইভিএমে কোতোয়ালীতে ভোট হবে। ৫ শতাংশ অতিরিক্তসহ মোট প্রিজাইডিং অফিসার ১৫১ জন, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৯৬৬ জন এবং পোলিং অফিসার ১ হাজার ৯৩২ জন এ আসনে ভোট গ্রহণে কাজ করবেন।

ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটারের তথ্য যাচাইয়ে- আঙ্গুলের ছাপ, স্মার্ট কার্ড অথবা পুরনো এনআইডি কার্ড ব্যবহার করা হবে বলে জানান কোতোয়ালী থানা নির্বাচনী কর্মকর্তা কামরুল আলম। স্মার্ট কার্ড পাঞ্চ, আঙ্গুলের ছাপ অথবা আইডি নম্বর যেকোনো একটি কম্পিউটারে দেবার পর ভোটারের প্রোফাইল খুলবে। তারপর বুথে রাখা একটি ইভিএম মেশিনে তিনি ভোট দিতে যাবেন। ওই ইভিএমে প্রার্থীদের মার্কাসহ নাম থাকবে। সেখানে ভোটার প্রার্থীর মার্কা নিশ্চিত করে পাশের বোতাম টিপে ভোট দেবেন।