দেশব্যাপী জনমত গঠনের লক্ষে ঢাকার পর বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আসছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। আগামী ৭ এপ্রিল নগরীর লালদীঘি মাঠে সম্মিলিত জাতীয় জোট আয়োজিত মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দেশ ও জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সম্মিলিত জাতীয় জোট অপরাজনীতি থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে দেশব্যাপী জনমত গঠনে কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আগামী ৭ এপ্রিল (শনিবার) বেলা দু’টায় মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এ সমাবেশ জাতীয় রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সম্মিলিত জাতীয় জোটের লিয়াজো কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্টের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব স উ ম আবদুস সামাদ। এসময় সম্মিলিত জাতীয় জোটের মহাসমাবেশ সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক মো.সোলায়মান আলম শেঠ উপস্থিত ছিলেন।
দেশের অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি বন্দরনগরী চট্টগ্রাম এখন সবচেয়ে বেশি অবহেলিত ও বঞ্চিত জনপদ অভিযোগ করে আবদুস সামাদ বলেন, সামনের বর্ষা চট্টগ্রামবাসীর জন্য সতর্ক সংকেত। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে বন্দরনগরী কর্ণফুলী নদীর জোয়ারে ভাসছে। এবারও উত্তোরণের কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
সরকারের একজন মন্ত্রী চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগের বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেবা দানকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় নেই। ফলে চট্টগ্রাম নগরী দূষিত ও বাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।
‘চট্টগ্রামবাসী হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে উন্নয়নের জোয়ারে নয়, কর্ণফুলী নদীর জোয়ারে ভাসছে বাণিজ্যনগরী। এ দুরাবস্থা থেকে নগরবাসী মুক্তি চায়। এজন্যই সম্মিলিত জাতীয় জোট।’
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আলম মাস্টার, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব দিদারুল কবির, ইসলামি ফ্রন্টের নেতা অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, নগর উত্তর শাখার সভাপতি মোহাম্মদ নঈম উল ইসলাম, ইয়াকুব হোসেন, মাওলানা রেজাউল করিম তালুকদার, মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।