চট্টগ্রামের পুরোনো সার্কিট হাউজকে মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর করার আহবান।

চট্টগ্রামের কাজির দেউরী এলাকা মুক্তিযুদ্ধের অনেক ঘটনার স্বাক্ষী। এখানকার পুরনো সার্কিট হাউজে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এনে পাকিস্তানী হানাদাররা অকথ্য নির্যাতন চালাত। এখানে একটি ইলেকট্রিক চেয়ার ছিল, যেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের বেঁধে ইলেকট্রিক শক দিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করত পাকিস্তানি হানাদাররা। তাই নতুন সার্কিট হাউজের পাশে অবস্থিত পুরোনো সার্কিট হাউজটিকে মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর করা এখন সময়ের দাবী। এতে মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের অবদানের বিভিন্ন স্মৃতি ও সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো থাকবে। আজ শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ভারতের প্রয়াত রাস্ট্রপতি প্রনব মুখার্জির শোকসভায় একথা বলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তিনি আরো বলেন, সার্কিট হাউজের সামনে যে উন্মুক্ত পাবলিক প্লেস রয়েছে সেখানে শিশু পার্ক করা উচিত হয়নি। মুক্তিযুূদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত এমন একটি জায়গা সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে সেখানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল বা ভাস্কর্য স্থাপন করা যায়। তবে শিশুদের বিনোদনের জন্য শিশুপার্কটিও এলাকার পাশে কোন খালি জায়গায় স্থানান্তর করা যেতে পারে। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ শোক সভায় ইন্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন আরো বলেন, প্রনব মুখার্জি ছিলেন বাংলাদেশের আসল বন্ধু। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদান আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গনতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় তিনি বিভিন্ন পরামর্শ দিতেন। সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস বলেন, শুধু ভারতের একজন রাস্ট্রপতি হিসেবে নয়, একজন কৃতি বাঙ্গালী হিসেবে প্রনব মুখার্জির জন্য আমাদের এই শোক সভা। রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের মত প্রনব মুখার্জিও বাঙ্গালীর গৌরব। এই শোকসভায় বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু প্রনব মুখার্জির প্রতি জানাই অশেষ শ্রদ্ধা ও ভালবাসা। শোকসভায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম সহ সিনিয়র সাংবাদিক নেতারা বক্তব্য রাখেন।