প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় জলাবদ্ধতা থেকে চট্টগ্রামবাসীকে মুক্তি দিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এগিয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম।
সোমবার (০৯ এপ্রিল) সকালে পাঁচতারকা হোটেল রেডিসন ব্লু চিটাগাং বে ভিউতে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খার পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্পের সমঝোতা (এমওইউ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
আবদুচ ছালাম বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে সিডিএ মেগা প্রকল্প হাতে নেয়। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই এ প্রকল্পের খোঁজখবর নেন। যাচাই-বাছাই করে প্রকল্প বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চাওয়া হয়। সেই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর এগিয়ে এসেছেন। আমি সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
পাশাপাশি ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার এ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে চসিক মেয়র আ জ ম নাছিরসহ চসিকের কাউন্সিলরদের সহযোগিতা চান সিডিএ চেয়ারম্যান।
জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ ৮ হাজার কোটি টাকায় ২ প্রকল্প হাতে নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামের মানুষের ধারণা ছিল জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএর নেওয়া এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে কি না, বাস্তবায়ন হবে কি না? জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে কি না? সেই ধারণাকে পাল্টে দিতে জননেত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে এসেছেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী এ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে, চট্টগ্রামের মানুষকে ভালবেসে তিনি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। এগিয়ে এসেছেন সেনাবাহিনীও। ক্ষমতার পরিবর্তন হবে। প্রধানমন্ত্রী আসবেন, যাবেন; কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো চট্টলদরদী প্রধানমন্ত্রী আর পাওয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন আবদুচ ছালাম।
অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, আমাদের প্রকৌশল ও পরিচ্ছন্নতা বিভাগ নিয়ে যেভাবে সহযোগিতা করা প্রয়োজন তা শতভাগ করব। জলাবদ্ধতা নিরসন নগরবাসীর জন্য।
“যত দ্রুত আমরা জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হব তত মঙ্গল। নগরবাসীর কাছে অনুরোধ- বলা যত সহজ, করা তত কঠিন। এই প্রকল্পের সুফল পাব বাস্তবায়নের পর। এটা বুঝতে হবে, ধৈর্য্য ধরতে হবে।”
খালে ও ড্রেনে ময়লা-আর্বজনা ফেলার অভ্যাস পরিহার করতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, এটা বন্ধ না হলে প্রতিদিন মাটি তুলেও সুফল মিলবে না। সকলকে সংকীর্ণতা উর্ধে উঠে কাজ করতে হবে।
পরে সেনাবাহিনীর পক্ষে ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন ব্রিগেডের উপ-মহাপরিচালক লেফটেনেন্ট কর্নেল শাহরিয়ার আহমেদ ও সিডিএর পক্ষে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাসান বিন শামস এ মেগা প্রকল্পের সমঝোতা (এমওইউ) সই করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার ও প্রকশানা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন উপস্থিত ছিলেন।